এম ইয়াকুব হাসান অন্তর
হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর লাখাই থানা পাকহানাদার মুক্ত হয়। ঐদিন বিকেল তিনটায় ১২৯ জন পাক-হানাদার বাহিনীর দোসর রাজাকার উপজেলার জিরুন্ডা খেলার মাঠে মুক্তিযুদ্ধকালীন লাখাই পশ্চিমাঞ্চলের কমান্ডার সৈয়দ শফিকুল ইসলামের নিকট আত্মসমর্পণ করে। ডিসেম্বরের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে লাখাইর যুদ্ধকালীন কমান্ডার ইলিয়াস কামালের নেতৃত্বে স্থানীয় বুল্লা বাজারে হামলা চালিয়ে যুদ্ধ করে রাজাকারদের হটিয়ে দিয়ে রাজাকার ক্যাম্প দখল করে নেয় এবং সেখানে মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন করে। এসময় মুক্তিবাহিনী উপজেলার মাদনা সহ পূর্বাঞ্চল শত্রুমুক্ত করে। তখনও থানা সদর লাখাই শত্রুদের দখলে ছিল। এ পর্যায়ে ৭ ডিসেম্বর লাখাই পশ্চিমাঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পের কমান্ডার সৈয়দ শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা লাখাই থানা সদরে হামলার মাধ্যমে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকারদের আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করে। রাজাকার বাহিনী ও থানা পুলিশের ১২৯ জন ১২৯ টি অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে। ৭ ডিসেম্বর লাখাই মুক্ত দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। দায়সারাভাবে দিবসটি পালন করা হলেও মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে তেমন কোন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে এবং লাখাইয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে ব্যবস্থা গ্রহন করিতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে লাখাইর সচেতন মহল ও মুক্তিযোদ্ধারা।এ ব্যাপারে বীরমুক্তিযোদ্ধা কেশব চন্দ্র রায় এর সাথে আলাপকালে জানান এ বছর লাখাই মুক্ত দিবস উপলক্ষে কোন কর্মসূচী নেওয়া হয়নি। তবে কোন কোন বছর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে সীমিত পরিসরে দিবসটি পালন করা হয়।
শেয়ার করুন