রাজধানীর রমনা মডেল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান।
বুধবার (৩ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার বিষয়টি জানিয়েছেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আগামী ১৬ আগস্ট পর্যন্ত তার জামিন বহাল রাখেন। এর আগে তিনি এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছিলেন।
আদালতে প্রথম আলো সম্পাদকের জামিন আবেদন বিষয়ে শুনানি করেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। তিনি আদালতে বলেন, উচ্চ আদালত প্রথম আলো সম্পাদককে আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন। উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী তিনি আজ আদালতে জামিননামা দাখিল করার অনুমতি চাচ্ছেন এবং একই সঙ্গে বিবিধ আবেদন করে জামিন চেয়েছেন। তিনি কোনো অপরাধ করেননি।
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও নিজস্ব প্রতিবেদক (সাভারে কর্মরত) শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে গত ২৯ মার্চ মধ্যরাতে রাজধানীর রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন আইনজীবী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক)। এই মামলায় গত ২ এপ্রিল হাইকোর্ট প্রথম আলো সম্পাদকের ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন। একই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কয়েক দিন কারাগারে থাকার পর জামিন পান প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস।
উল্লেখ্য, ২৬ মার্চ প্রথম আলো অনলাইনের একটি প্রতিবেদন ফেসবুকে প্রকাশের সময় দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘গ্রাফিক কার্ড’ তৈরি করা হয়। সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে জাকির হোসেনের নাম থাকলেও ছবিটি ছিল একটি শিশুর। পোস্ট দেওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। এরপর সেই ছবিটি প্রত্যাহার করে প্রথম আলো। সেটা পরে প্রতিবেদন সংশোধন করে সংশোধনীর বিষয়টি উল্লেখসহ অনলাইনে প্রকাশ করা হয়।
পরে এ নিয়ে একাত্তর টেলিভিশনে খবর প্রকাশিত হয়। তারপর ২৯ মার্চ (বুধবার) ভোর চারটার দিকে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে তার সাভারের বাসা থেকে সিআইডির পরিচয় দিয়ে তুলে আনা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে ঢাকার তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকালে পুলিশ শামসুজ্জামানকে রমনা থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে। এই মামলায় প্রথম আলো সম্পাদককেও আসামি করা হয়।
শেয়ার করুন