আদালত চত্বরে কাঁদলেন মির্জা আব্বাস

জাতীয়

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগের মামলা থেকে খালাস পেয়ে অঝোরে কাঁদলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মির্জা আব্বাসকে বেকসুর খালাসের রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মো. মাসুদ পারভেজের আদালত।

দুই মামলায় খালাস পেয়ে আদালত প্রাঙ্গণে কাঁদতে দেখা গেছে বিএনপির এই নেতাকে।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ১৭ বছরে আমার জীবনের সমস্ত কিছু এই আওয়ামী সরকার কেড়ে নিয়েছে, ধ্বংস করে দিয়েছে। আমি না শুধু, আমার মতো বাংলাদেশের বহু নেতাকর্মীর জীবন শেষ করে দিয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এই ১৭ বছরে আমাদের বহু কর্মী নিহত হয়েছে। বিনা চিকিৎসায় জেলখানায় মারা গেছে। এই ১৭ বছরে বহু পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। একইভাবে আমার পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি যখন আল্লাহর কাছে দোয়া করি, নামাজ পড়ি, দোয়া করি আল্লাহ আমার বিক্ষিপ্ত পরিবারকে এক করে দাও।

 

তিনি বলেন, আজকে এই সরকারের কাছে আবেদন করব, এই ধরনের নিপীড়নমূলক ভ্যানগুলো যেন প্রত্যাহার করা হয়। এই ভ্যানে করে আমাদেরকে আনা-নেওয়া করা হয়েছে। অনেক কষ্ট হয়েছে।

 

মির্জা আব্বাস বলেন, অনেকে বলতে পারেন, ক্ষমা মহত্বের লক্ষণ। আমি ভাই মহৎ ব্যক্তি না। আমার জীবনের বিনিময়ে কাউকে ক্ষমা করতে পারছি না। এই বিচার আমি আল্লাহর কাছে চাই।

 

মামলায় অভিযোগ করা হয়, মির্জা আব্বাস আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশরে (দুদক) উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলাটি করেন।

 

২০০৮ সালের ২৪ মে দুদকের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হুদা তদন্ত শেষে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে তার বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালতে মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালীন ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *