এমনিতে তাকে যথেষ্ট বিনয়ী হিসাবে জানেন কাছের লোকজন। নেতাকর্মীদের সম্মান দিতে জানেন। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আগে অনেক নেতাই ছিলেন তার প্রতিদ্বন্ধি। কিন্তু তবু কখনোই তার সৌজন্যতাবোধ নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলার সুযোগ পাননি। সবাইকে সৎ যোগ্য জনপ্রিয় এবং দলের জন্য ত্যাগী নেতা বলে অভিহিত করেছেন বিভিন্ন সভায়। আনোযারুজ্জামান চৌধুরীর সৌজন্যতাবোধের পরিচয় আগেও পেয়েছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীও। পেলেন আবারও।
রোববার ( ২৮মে) সকাল ১১টার দিকে হঠাৎ মেয়রের বাসায় উপস্থিত হয়ে চমকে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আনোযারুজ্জামান চৌধুরী। তাও আবার একা নয়, সস্ত্রীক। সকাল ১১টার দিকে নিজের কুমারপড়াস্ত বাসায় আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে স্বাগত জানান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
তারপর কুশল বিনিময় শেষে দু’জন একান্ত আলাপচারিতায় মেতে উঠেন। আলাপের বিষযবস্তু যে সিলেট সিটি করপোরেশনের এবার নির্বাচন ও সার্বিক উন্নয়ন, সে কথা বালাইবাহুল্য।
দু’জনের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানিয়েছে, একান্ত আলরাপচারিতায় তারা সিলেট সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন। কথা হয়েছে সমস্যাগুলো সমাধানের উপায় নিয়েও।
আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নিজের জন্য দোয়া সমর্থন ও সহযোগীতা চেয়েছেন। আর সিলেট সিটি করপোরেশনের টানা ১০ বছরের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী তার অভিজ্ঞতার আলোকে সহযোগীতার আশ্বাসও দিয়েছেন।
এর আগে, ২০মে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আরিফুল হক চৌধুরী মেয়র পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তিনি নির্বাচনে আছেন কি নেই, এই বিষযটি যখন কেউ জানতেন না, তখনো একবার দুজনের দেখা হয়েছিল কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ প্রাঙ্গণে। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত স্মরণে অনুষ্ঠিত নাগরিক স্মরণসভায়। তখনো দু’জনে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেছিলেন আর আনোযারুজ্জামান চৌধুরী আরিফুল হক চৌধুরীকে বড় ভাই বলে সম্বোধন করেছিলেন।
তবে ভোটের মাঠে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও তার পক্ষের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন অভিযোগ, বিশেষ করে লূটপাটের অভিযোগ আর আরিফুল হক চৌধুরীর তোলা প্রশাসনের গ্রেফতার নির্যাতন নিপিড়ন বিষয়ক অভিযোগ নিয়ে দুই নেতার মধ্যে কোন আলোচনা হয়েছে কি না, তা অবশ্য নিশ্চিত করতে পরেনি দু’জনের কাছের কোন সূত্রই।
শেয়ার করুন