আরিফুল ইসলাম সিকদার:
বিগত ৮ই জুন বৃহস্পতিবার
ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য, নির্বাহী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী, ঠিকাদার, ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা দায়ের করেছে রাঙামাটি দুর্নীতি দমন কমিশন। এবং তার সাথে সাথে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অনেকটা মুখরোচক করে প্রকাশিত হয় বিভিন্ন ধরনের সংবাদ।
দুদক কতৃক দায়েরকৃত মামালাগুলোকে ষড়যন্ত্র দাবী করে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন উক্ত মামলার আসামী সবির কুমার চাকমা ও নৌকা প্রতিকে নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মো মামুনর রশিদ মামুন।
তাদের ভাষ্যমতে, মিথ্যে অভিযোগে নিয়ে সংশ্লিষ্ট আইন ও ধারায় দুদকের দায়েরকৃত মামলার এজাহারে যেসব অভিযোগ দাবি করা হয়েছে -এর সাথে তাঁদের কোন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই বানোয়াট অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
উল্লেখিত অভিযোগটিকে ভিত্তিহীন দাবি করে মো মামুনর রশিদ বলেন, একটি কুচক্রি মহল আমাকে এবং জেলা পরিষদের সদস্য সবির কুমার চাকমাসহ বাকীদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের করেছেন সেটা সম্পুর্ন ভিত্তিহীন।এসব শুধুমাত্র আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে এবং আমাদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এই ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক অভিযোগ এনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে চলেছে।আমি এসব প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে মামলার আরেক আসামী চিংহেন রাখাইন বলেন বলেন, দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি, মাদক, জুয়াসহ যেকোন অপরাধের প্রতি ঘৃণা রেখেই আমাদের পথ চলা।আমরা নিয়ম মেনে নৈতিক ও পেশাগত দায়িত্ব থেকে সততা ও সাহসিকতার সহিত কাজ পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এই যে, সম্প্রতি সমাজের কিছু কতিপয় ব্যক্তি ও আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ইশারায় সম্পূর্ণ মিথ্যা ঘটনার বিবৃতি স্থাপন করে কয়েকজন হলুুদ ও কথিত সাংবাদিকদের দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মারাত্মক রকমের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে মামুনর রশিদ মামুন আরো জানান, আমাদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে প্রতিপক্ষের বেঁধে দেওয়া মিথ্যা স্থাপনকৃত ওই অভিযোগ নামে-বেনামে প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করা হচ্ছে, ইতিমধ্যে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। একই সাথে গণমাধ্যমে মারাত্মক রকমের মানহানিকর ও মিথ্যা ঘটনার বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে। তথ্য যাচাই-বাছাই কিংবা অনুসন্ধান না করেই সেই মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতেই সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে, যা একেবারেই অপ্রত্যাশিত।
অভিযোগের বিষয়ে সবির কুমার চাকমার পুর্বের বক্তব্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মিতিনি বলেন, যে সকল অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে। এর স্বপক্ষে অভিযোগকারীরা কোন সাক্ষ্য-প্রমাণ দিতে পারবেনা। কেননা অভিযোগের জায়গাগুলোই কাল্পনিক। আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই কাজটি করছেন তারা। মিথ্যা অভিযোগ এনে আমার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা চাওয়া হচ্ছে। এতে সাড়া না দেওয়ায় এখন অনেকটা ব্লাক-মেইলের শিকার হচ্ছি। মূলত এটিই হলো পিছনের গল্প।এর আগেও নারী সংক্রান্ত একটি মিথ্যা মামলাসহ একাধিক মামলায় চেয়ারম্যান মামুনকে আসামী করে মামলা করলেও তিনি সেসব মামলা হতে আদালতের রায়ের মাধ্যমে নির্দোষ প্রমানিত হয়েছেন বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, অপপ্রচার করা হচ্ছে। আর অপপ্রচার ছড়িয়ে দেওয়া গেলেও কখনো-ই প্রতিষ্ঠিত হয়না। অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সবির কুমার চাকমার ন্যায় মামুনর রশিদ মামুনও একজন সৎ নিষ্ঠাবান ও সফল জনপ্রতিনিধি। অনেক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে একজন সফল ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত তিনি। তিনি তাঁর পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য, শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন রয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অবিরত কাজ করে যাচ্ছেন। দায়িত্ব নিয়ে উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। এলাকার হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে তাঁর নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকায় নিজের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।
শেয়ার করুন