গলা সমান এক পুকুরের পানি রাতারাতি উধাও হয়ে গেল! নিমেষে হারিয়ে গেছে পুকুরভর্তি সব মাছ। ফাঁকা পুকুরের মাঝে দেখা মিলেছে অলৌকিক কূপের। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বিকেলে কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের বাগইল পশ্চিমপাড়া গ্রামে এমনই ঘটনা ঘটে। এনিয়ে এলাকায় তুমুল হইচই পড়ে গেছে। দলে দলে লোকজন ছুটছেন পুকুরটি দেখতে।
জানা গেছে, ১৭ শতক আয়তনের পুকুরে এবারও ২০০ কেজি মাছ ছাড়া হয়েছিল। সেই মাছসহ গলাসমান পানি নিমিষেই উধাও হয়ে গেছে। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ওই পুকুরে মাছ চাষ করছেন নুরুল ইসলাম (৮০)।
সরেজমিন দেখা যায়, নানা বয়সী মানুষ দলবেঁধে দেখতে আসছেন পুকুরটি। অনেকে কাদা মাড়িয়ে নিচে নেমে উঁকি দিয়ে দেখছেন সুড়ঙ্গের গভীরতা।
পানি নেমে যাওয়ার পর গ্রামবাসী দেখতে পান পুকুরের মাঝ বরাবরে একটি বিশাল গর্ত। পরে নেমে গিয়ে দেখেছেন প্রায় ৮ থেকে ১০ ফুট গভীর সেই গর্ত।
এদিকে এই ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সাড়া ফেলেছে পবিত্র কুরআনের একটি আয়াত।
قُلۡ اَرَءَیۡتُمۡ اِنۡ اَصۡبَحَ مَآؤُکُمۡ غَوۡرًا فَمَنۡ یَّاۡتِیۡکُمۡ بِمَآءٍ مَّعِیۡنٍ (সুরা মুলক: আয়াত-৩০ )
উচ্চারণ: কুল আরাআইতুম ইন আসবাহা মাউকুম গাওরান ফামাইঁ ইয়া’তীকুম বিমাইম মা’ঈন।
সরল অর্থ: বল, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, কোনো এক ভোরে যদি পানি ভূ-গর্ভে তোমাদের নাগালের বাইরে চলে যায় তাহলে কে তোমাদেরকে এনে দিবে প্রবাহমান পানি?
তাফসিরে জাকারিয়ায় এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, غَوْرٌ শব্দের অর্থ হল শুকিয়ে যাওয়া অথবা পানির এত গভীরে চলে যাওয়া যে, সেখান হতে তা বের করা অসম্ভব হয়। অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলা যদি পানি শুকিয়ে দিয়ে তার অস্তিত্বই শেষ করে দেন অথবা মাটির এত গভীরে করে দেন, যেখান থেকে পানি বের করতে সর্বপ্রকার যন্ত্র ব্যর্থ সাব্যস্ত হয়, তাহলে বল, কে আছে এমন, যে তোমাদের জন্য প্রবহমান ও নির্মল পানির ব্যবস্থা করে দেবে? অর্থাৎ, কেউ নেই। এটা মহান আল্লাহর অশেষ অনুগ্রহ যে, তোমাদের অবাধ্যতা সত্ত্বেও তিনি তোমাদেরকে পানি থেকে বঞ্চিত করেননি।
বগুড়ার পুকুরের পানি রাতারাতি উধাও হয়ে যাওয়াটা যেন জীবন্ত কুরআনের এক নমুনা মাত্র।