ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সারাদেশে এখনও ৪৫ শতাংশ মোবাইল সাইট অসচল রয়েছে বলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসি।
টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি মঙ্গলবার জানিয়েছে রিমালের প্রভাবে সারা দেশে ৫৬ শতাংশ নেটওয়ার্ক অসচল হয়েছিলো। তা কমে এখন ৪৫ শতাংশে পৌঁছেছে।
নেটওয়ার্ক সাইট অসচল থাকার কারণ হিসেবে বিটিআরসি বলেছে, প্রায় সব ক্ষেত্রেই সাইট অসচল হবার কারণ দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকা। পরবর্তীতে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরে আসায় সাইটগুলো সচল হচ্ছে।
সংস্থাটি বলছে, চারটি জেলায় অসচল সাইটের সংখ্যা পাঁচ শতাংশের নিচে থাকায় সেসব এলাকার নেটওয়ার্ক ঘূর্ণিঝড়ে প্রভাব মুক্ত ধরে নেয়া যায়।
মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব) সোমবার সন্ধ্যায় জানায়, নেটওয়ার্ক দ্রুত ফিরিয়ে আনতে মোবাইল অপারেটররা বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
রোববার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত বাংলাদেশের স্থলভাগে ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাণ্ডব চালিয়ে ঘূর্ণিঝড় রিমাল বিদায় নিলেও রেখে গেছে বিশাল সব ক্ষতচিহ্ন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উঠে আসছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আসার পর দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল এলাকায় দেখা দেয় বিদ্যুৎ বিভ্রাট।
এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ১০ হাজারের বেশি মোবাইল টাওয়ার বা বেস ট্রান্সসিভার স্টেশন (বিটিএস) সেবা দিতে পারছে না। এর প্রভাবে দক্ষিণের জেলাগুলোর লাখ লাখ মানুষের মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। এতে করে নানা ধরনের বিড়ম্বনার মুখে পড়ছেন তারা।
বরগুনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ আরও কয়েকটি জেলার মানুষ মোবাইল সেবা না পাওয়ার কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
শেয়ার করুন