বানারীপাড়া প্রতিনিধি//
বরিশালের বানারীপাড়ার বাসিন্দা ঢাকার ওয়াসায় চাকরি করা মোঃ আব্দুল মান্নানকে নিয়ে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবার অভিযোগ পাওয়া গেছে একটি মহলের বিরুদ্ধে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের গাভা ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ আব্দুল মান্নান দীর্ঘ ৩১ বছর যাবত ঢাকার ওয়াসায় চাকরি করে আসছে। বর্তমানে তিনি স্হায়ী ভাবে ঢাকায় পরিবার বর্গ নিয়ে বসবাস করে। তার বড় ভাই মরহুম আবদুল মালেক সাবেক বি এন পির সভাপতি ছিলেন, ঐ এলাকায় মালেকের ছেলেরা বি এন পি করে আসছে। আব্দুল মান্নান স্বচ্ছল থাকায় তার ভাই আঃ মালেক এর ছেলেরা শিক্ষিত হওয়ায় তাদের বিভিন্ন পর্যায়ে চাকরি দেয়। মোঃ আব্দুল মান্নান দুই বার গাভা হাই স্কুল এর শিক্ষানুরাগী সদস্য ছিলেন। তিনি জানান মেঝ ভাইর ছেলে স্বশিক্ষিত হওয়ায় কোনো চাকরি দিতে না পেরে জীবিকা নির্বাহের জন্য কুয়েত পাঠাই। অথচ আমি যাদের উপকার করেছি তারাই বিগত দিনে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দেখিয়ে আমার অনেক ক্ষতি সাধন করেছে। বর্তমানেও তাদের কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগের আমলে আমার জমিতে নিজ হাতে গাছ লাগানো প্রায় বিশ হাজার টাকার গাছ এলাকার মাদকাসক্ত বখাটে ছেলেদের নিয়ে আমার মেজো ভাইয়ের ছেলেরা কেটে বিক্রি করে। বর্তমানে সেই গাছ থাকলে তার মুল্য হতো ১০ লাখ টাকা এবং পরবর্তীতে আমার বাড়ির গাছ বিক্রি করতে গেলে ঈমাম এবং তার ভাই মামুন বাধা দেয় এবং ৮ হাজার টাকা চাদা দিতে বাধ্য হই। বিগত দিনে আমার জমি দখল করে সুমন মেম্বার এবং ফারুক ঘরামিসহ জুলহাস ঢালীকে দেয় অথচ তারা উপরন্ত আমার উপরে দোষারোপ চালায়। আমি জাতীয় পার্টির সময় চাকরি করে এ পর্যন্ত পরিবার বর্গ সহ ঢাকায় থাকি। আমাকে হুমকি দেওয়া হয় এলাকায় গেলে মারধর করা সহ খুন যখম করে ফেলা হবে।
আপনি আওয়ামী লীগ কোন পদে ছিলেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মান্নান বলেন বিগত দিনে আওয়ামী সরকার ছিল আর সরকারি চাকরি করতে হলে যখন যে সরকার থাকে ঐ সরকারের পক্ষে থাকাটা অন্যায় নহে, তবে আমি কোনো আওয়ামী লীগ এর পদে ছিলাম না। কিংবা আওয়ামীলীগের হয়ে কোন ধরনের দাঙ্গা প্রাসাদ করেনি। কারো বিন্দু পরিমাণ ক্ষতি করিনি। বিগত সময়ে মনিরুল ইসলাম মনি এম পি থাকাকালীন সময়ে এলাকার উন্নয়ন মুলক কাজে জড়িত থেকে এলাকায় সামাজিক কাজ করেছি। জনস্বার্থে ১ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করেছি নিজ উদ্যোগে। ২০২৪ সাল ১ জানুয়ারি বানারীপাড়া হাই স্কুল মাঠে আমার উপর হঠাৎ এনায়েত মোল্লার নেতৃত্বে হামলা করে চানু ধুপি আর এনায়েত মোল্লা, আমি থানায় মামলা / জিডি করতে গেলে ঐ সময় আমি থানায় একটা জিডিও করতে পারি নাই। দীর্ঘ ২০ /২২ বছর আগে চানু ধুপি ঢাকা কাঁঠাল বাগান থাকতো শীর্ষ সন্রাসী বাবুর সঙ্গে। বাবু ক্রোস ফায়ার এ নিহত হওয়ার পর চানু এলাকায় আসে। তার নামে খুন, ডাকাতি ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এলাকায় মাদক ব্যবসা সহ নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িত এই চানু ধুপি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জলিল ঘরামি চেয়ারম্যান এর একনিষ্ঠ নেতা সোবহান মোল্লা। গাভা হাই স্কুল মাঠে আলম এম পি হাতে ফুল দিয়ে নৌকার যোগ দেয়। উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক এর নির্বাচন করে, তার ছেলে মামুন মোল্লা সহ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা মিলে আব্দুল মান্নানের সীমানা প্রাচীর একাধিকবার ভেঙে ফেলে। অথচ সেই সোবাহান মোল্লাকে বর্তমানে বিএনপি বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। বর্তমানে এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা আমার জমা জমি ভোগ দখলের চেষ্টা করে আসছে। আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। নতুন স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে বসবাস করা প্রত্যেকটা নাগরিকের অধিকার। অথচ এখনো বিএনপির ছত্র ছায়ায় কিছু আওয়ামী লীগ আমার উপর অন্যায় অত্যাচার করে আসছে। এলাকার কিছু মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত এলাকার শিক্ষার্থীসহ যুব সমাজকে মাদক সেবনে সহায়তা করছে। আব্দুল মান্নান বলেন তাদের মধ্যে মাদক ব্যবসায়ী বেল্লালসহ বেশকয়েক জনের এ ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আমার চাচাতো ভাই রফিক প্রতিবাদ করলে তাকে বিগত দিনে গাভা জামে মসজিদ এর সামনে বসে এলোপাতাড়ি মারধর করে আহত করে। এ সময় রফিক আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এবং তার ডাক চিৎকারে বাড়িতে থাকা আমার বড় ভাইয়ের ছেলে কাইয়ুম ঘটনাস্থলে আসলে ৪/৫ জন সন্ত্রাসীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর আহত রফিককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। স্থানীয় কিছু বখাটেরা এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে। বর্তমানে হারুন ঢালীর ছেলেরা এবং ছোবাহান মোল্লাসহ তার ছেলেরা দেশে গেলে আব্দুল মান্নানকে খুন যখম করাসহ বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবে বলে হুমকি দেয়। আব্দুল মান্নান আইন শৃঙ্খলা রক্ষা কারি বাহিনীর কাছে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তার দাবি জানাচ্ছে।
শেয়ার করুন