দেশে গত একদিনে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা চারশর ঘরে নেমে এসেছে। তবে মৃত্যু কিছুটা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত ও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিন শুক্রবার ৬২০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, সেই সঙ্গে ২ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ হিসাবে শনাক্ত কমলেও মৃত্যু বেড়েছে। শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের ৮৮০টি ল্যাবরেটরিতে ৪ হাজার ৪৪৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর ৪ হাজার ৪১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মহামারির শুরু থেকে দেশে এ পর্যন্ত মোট এক কোটি ৪৫ লাখ ৪৯ হাজার ৮৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষায় ৪৪৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত ও চারজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দেশে মহামারি শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ এক হাজার ৩৪৫ জনে। আর করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ২৬২ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১০ দশমিক ১০ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
তবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১ হাজার ৪৩৪ জন। তাদের নিয়ে সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯৩ জন। গত দিনে করোনায় মৃতদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী। সবাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাদের মধ্যে ঢাকায় দুজন এবং খুলনা ও সিলেটে একজন করে বাস করতেন।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে একপর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশর নিচে নামে। কিন্তু ২২ মের পর থেকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারও বেড়ে যায়।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ২৮ মাস পর বৃহস্পতিবার শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়ায়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যা।