গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে সিলেট প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ৪নং ওয়ার্ডের মজুমদারি এলাকার ৮০ নম্বর বাসায় উচ্ছেদ অভিযানের সাথে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ তোফায়েল আহমদ সেপুলকে জড়িয়ে যে বক্তব্য রাখা হয়েছে তার সাথে ভিন্নমত পোষণ করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টির ব্যাখা দিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি উল্লেখ করেন, মজুমদারি এলাকার ৮০ নম্বর বাসার বর্ধিতাংশ ভাঙার জন্য বাসার মালিক সামস উদ্দিন আহমদকে (গেনু মিয়া) আইনানুগভাবে ৩টি নোটিশ প্রদান করা হয়। তিনি কার্যত কোন ভূমিকা পালন না করায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে উক্ত বর্ধিতাংশ জায়গা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর আগে একই এলাকার ৮১ নম্বর বাসার মালিক নাফি আহমদ চৌধুরীর পক্ষে তার কেয়ারটেকার মো. মকবুল হোসেন আবেদন করেন।
সিসিকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর সাথে স্থানীয় কাউন্সিলর তোফায়েল আহমদ সেপুলের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। তাকে জড়িয়ে কোনও প্রকার বক্তব্য বা সংবাদ উপস্থান না করার অনুরোধ করেছে সিসিক কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, সিলেট নগরের বিমানবন্দর থানাধীন মজুমদারিতে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নারীর বাসা দখলের পায়তারা করছেন স্থানীয় কাউন্সিলর শেখ তোফায়েল আহমদ সেপুল। এমন অভিযোগ সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নাসরিন আহমদ। ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষ আমাদের সম্মান জানালেও ইদানীং সিলেটের একজন জনপ্রতিনিধি ও তার লেলিয়ে দেওয়া লোকজন আমার কাছে চাঁদা দাবি করছেন। তারা আমাকে প্রাণে মারা এবং বাসাটি ভেঙে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন।’ নাসরিন আহমদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী হলেও দেশের টানে এবং এখানকার সম্পদ সুরক্ষার জন্য আমাকে প্রায়ই দেশে অবস্থান করতে হয়। কিন্তু সম্প্রতি আমার বাসার উপর নজর পড়েছে সিলেটের শেখ তুফায়েল আহমদ সেপুলের। ইদানীং তিনি সিলেট সিটি করপোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্ব পাওয়ার পর আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেছেন।’
শেয়ার করুন