কুলাউড়ার ভূকশিমইলে মসজিদের ইমামকে রাজকীয় বিদায়

সিলেট

বর-কনের হেলিকপ্টারে বিয়ে, নায়ক-নায়িকার বিয়ে, জেলার পুলিশ সুপারের বিদায়সহ নানাভাবে সমাজের সেলিব্রেটিদের জাঁকজমকপূর্ণ বিদায় বা বিয়ে দেখেছেন অনেকেই। কিন্তু মসজিদের ইমামের এমন বিদায় দেখেননি কেউ।

দীর্ঘ ২৩ বছর ইমামতি করার পর শতাধিক মোটরসাইকেল, গাড়িতে করে জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিদায় দেওয়া হয়েছে মসজিদের প্রিয় ইমাম ও খতিব মাওলানা এবাদুর রহমানকে।

বিদায় বেলায় মসজিদের ইমামকে সম্মানিত করার এমন উদ্যোগের কারণে প্রশংসায় ভাসছেন এলাকাবাসী। নেট দুনিয়ায় ঘটনাটি ভাইরাল হয়েছে।

কুলাউড়া উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের মদনগৌরি গ্রামে  ইমামের সম্মানে এ বিরল বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এলাকাবাসী জানান, মদনগৌরি  গ্রামের মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে দীর্ঘ ২৩ বছর দায়িত্ব পালন করেন। এই ২৩ বছরের মধ্যে তিনি গ্রামবাসীদের আত্মার সঙ্গে মিশে গেছেন। এখন তিনি বার্ধক্যে পৌঁছেছেন। এ অবস্থায় তার বিদায় নেওয়ার পালা। কিন্তু বিদায় বেদনার হলেও এলাকাবাসী তা কষ্টে মেনে নেন এবং তার সম্মানে স্থানীয় মদনগৌরি যুব সমাজের উদ্যোগে আয়োজন করেন রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনার।

বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইমামকে দেওয়া হয় ক্রেস্ট। পরে তাকে  গাড়ি করে রাজকীয় অথচ চোখের জলে বিদায় দেওয়া হয়। এ সময় এলাকার মুরুব্বিসহ সর্বস্তরের মানুষ প্রিয় ইমামকে ধরে গাড়িতে তুলে দেন এবং শতাধিক মোটরসাইকেল, সিএনজিসহ গাড়িতে করে তার বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে আসেন।

এ সময় সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েন। মসজিদের ইমাম কাম-খতিবের এমন রাজকীয় বিদায়ের ভিডিও এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই তা ভাইরাল হয় এবং নেটিজেনসহ সর্বস্তরের মানুষের প্রশংসায় ভাসেন এলাকাবাসী।

এ সময় এত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান  বলেন, এবাদুর রহমান দীর্ঘ ২৩  বছর  মসজিদে ইমামতি ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এখন বার্ধক্যে পৌঁছেন। তিনি এলাকাবাসী সবার সঙ্গে মিশে ছিলেন। গ্রামবাসী তার পরামর্শ নিয়ে কাজকর্ম করতেন। তিনি ছিলেন আমাদের অভিভাবকের মতো। তাই তাকে বিদায় বেলায় এভাবে সম্মানিত করার চেষ্টা করেছি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *