শেখ রাসেল
বাগেরহাট প্রতিনিধি
মোংলা বন্দরকে বাণীশান্তার উর্বর তিনফসলি কৃষিজমিতে পশুর নদী ড্রেজিংয়ের বালি ফেলার ভুল সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। যেহেতু বালি ফেলার বিকল্প আছে তাই কৃষি ও কৃষকের কল্যানে বালি ফেলার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে।
করোনাকাল এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আবারো প্রমান করেছে কৃষি হচ্ছে আমাদের মায়ের মতো। তাই কৃষি ও কৃষকের উপর আঘাত সহ্য করা হবে না।
৩১ আগস্ট বুধবার সকালে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং বাণীশান্তা কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে তিনশো একর তিনফসলি কৃষিজমিতে মোংলা বন্দর কর্তৃক পশুর নদী ড্রেজিংয়ের বালি ফেলার ভুল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বাণীশান্তা-ভোজনখালি বিলের ধানক্ষেতে অনুষ্ঠিত কৃষকবন্ধন ও পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাপা নেতা কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স একথা বলেন।
বুধবার সকাল ১১টায় কৃষকবন্ধন ও পথসভায় সভাপতিত্ব করেন বাণীশান্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুদেব কুমার রায়। এসময় অন্যান্যদর মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য কৃষক নেতা এস এ রশিদ, হিন্দু কল্যান ট্রাস্ট’র ট্রাস্টি নান্টু রায়, বাপা মোংলা অঞ্চলের আহ্বায়ক মো. নূর আলম শেখ, অধ্যাপক অসিত সরকার, বাণীশান্তা কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির নেতা সত্যজিত গাইন, আওয়ামীলীগ নেতা সঞ্জিব মন্ডল, হিরণ্ময় রায়, সিপিবি নেতা কমরেড বিশ্বজিৎ মন্ডল, সংগ্রাম কমিটির নেতা কৃষ্ণ মন্ডল, ইউপি সদস্য পাপিয়া মিস্ত্রি, ইউপি সদস্য জয় কুমার মনিক, বাপা নেতা নাজমুল হক, শেখ রাসেল, মাহারুফ বিল্লাহ, হাছিব সরদার প্রমূখ।
পথসভায় বক্তারা আরো বলেন জান দেবো তবু কৃষিজমিতে বালি ফেলতে দেবো না। কৃষকের জীবন-জীবিকা নিয়ে তামাশা করার পরিনাম ভালো হবেনা বলে বক্তারা হুশিয়ার উচ্চারণ করেন। বক্তারা মোংলা বন্দরকে ষড়যন্ত্র’র পথ থেকে সরে এসে বিকল্প জায়গায় বালি ফেলার আহ্বান জানান। তারা কৃষি ও কৃষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখে দাড়ানোর জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। কৃষকবন্ধন ও পথসভায় কয়েকশো কৃষাণ-কৃষাণী কৃষিজমি রক্ষার বিভিন্ন দাবী সম্বলিত ফেস্টুন হাতে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।##
শেয়ার করুন