সরকারের পরিপত্র বাতিল করে কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্ট দেওয়া আলোচিত রায়ের মূল অংশ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে কোটা কমাতে বা বাড়াতে পারবে।
হাইকোর্টের রায়ে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ সব ধরণের কোটা পুনর্বহালের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর কোটায় যদি পদ পূরণ না হয়, তাহলে মেধার ভিত্তিতে শুন্যপদেও নিয়োগ দেয়া যাবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
কোটা সংস্কার ও মেধাভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র জারি করে সরকার। সেই পরিপত্রের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন আবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা।
শুনানি শেষে গত ৫ জুন পরিপত্রের আংশিক অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট। এর ফলে সরকারি চাকরিতে আগের কোটা পদ্ধতি ফিরে আসে।
আর এরপরই হাইকোর্টের আদেশ বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।
গত রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসহ, দেশের বিভিন্ন মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করছেন তারা। এতে তীব্র ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
এরি মধ্যে বুধবার হাইকোর্টের আদেশে এক মাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছে আপিল বিভাগ। এই সময়ে সরকারি চাকরিতে কোটা থাকবে না। কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদেরও ক্লাসে ফিরতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি।
কিন্তু এসবের কিছুই মানতে নারাজ শিক্ষার্থীরা। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে তারা আগের মতোই অবরোধ-কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা এখন নতুন দাবি তুলেছেন যে, আদালত নয়, সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা আসতে হবে।
কিন্তু সরকারের নীতি নির্ধারকরা বলছেন, কোটার বিষয়টা আদালতে বিচারাধীন। তাই বিষয়টার ফয়সালা হবে সেখানেই।
শেয়ার করুন