গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন, র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ

জাতীয়

কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, তারা প্রাথমিকভাবে গুমের ঘটনাগুলোর সঙ্গে শেখ হাসিনা ও তার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিকসহ নিরাপত্তা বাহিনী ও শেখ হাসিনা সরকারের শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তার জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া গুমের ঘটনাগুলোর সঙ্গে শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকজন সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তার জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশন।

আজ শনিবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। কমিশনের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এ কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এ সময় কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, তারা প্রাথমিকভাবে গুমের ঘটনাগুলোর সঙ্গে শেখ হাসিনা ও তার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিকসহ নিরাপত্তা বাহিনী ও শেখ হাসিনা সরকারের শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তার জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছেন।
এছাড়াও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের সাবেক মহাপরিচালক ও বরখাস্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, পুলিশের বিশেষ শাখার সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদেরও জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।

কমিশন বলছে, তারা এক হাজার ৬৭৬টি গুমের অভিযোগ পেয়েছে এবং ৭৫৮টি অভিযোগ ইতিমধ্যেই যাচাই-বাছাই করেছে। কমিশনের অনুমান- গুমের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়ে যাবে।

সেইসঙ্গে কমিশনের পক্ষ থেকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) বিলুপ্তির সুপারিশও করা হয়েছে।

কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, যারা এসব গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, তারা নিজেরাও ভুক্তভোগীদের বিষয়ে বেশি কিছু জানতেন না।

তিনি বলেন, আগামী বছরের মার্চে তারা এ সংক্রান্ত আরেকটি প্রতিবেদন জমা দেবেন। তারা আশা করছেন, তাদের কাছে আসা অভিযোগগুলো আগামী বছরের মধ্যেই নিষ্পত্তি করতে পারবেন।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা অত্যন্ত জরুরি একটি কাজ করছেন। আপনাদের সব ধরনের সহায়তা দিতে আমরা প্রস্তুত।’

এ সময় কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস, মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আদিলুর রহমান খান, শারমীন এস মুরশিদ, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়া, প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *