নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের গোলাপগঞ্জ মডেল থানার নলুয়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানের পাশে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন ও জোরপূর্বক বাড়ির নিজস্ব রাস্তা ও পুকুরপাড়ের গাছপালা কেটে বালু উত্তোলনের পাইপ স্থাপনে বাধা দেওয়ায় ‘বালু খেকোদের’ অতর্কিত হামলায় মহিলা সহ আহত হয়েছেন ৪জন। আহত ৪ জনের মধ্যে একজন সেনা সদস্যও মারাত্মক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি গত ২৩ সেপ্টেম্বর আনুমানিক দুপুর ১২ টায় দিকে নলুয়া গ্রামের পতি বেগমের বসতবাড়িতে ঘটে।
এ ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে নলুয়া গ্রামের আনোয়ার আলীর পুত্র মোঃ মিজানুর রহমান মিন্টু বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে থানা পুলিশ অভিযোগ তদন্তকরে সত্যতা নিশ্চিত হয়ে এজহার নামীয় এক আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও অদৃশ্য কারণে মামলার অন্যান্য আসামিরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরাফিরা করলেও তাদের গ্রেফতারে অক্ষম থানা পুলিশ বলে বাদীর অভিযোগ।
আহতরা হচ্ছেন- নলুয়া গ্রামের মৃত আফতাব আলীর স্ত্রী পতি বেগম (জখমী) ও তার দুই পুত্র মতিউর রহমান (জখমী) ও রাকিব আলী (জখমী) এবং আনোয়ার আলীর স্ত্রী ছায়া বেগম (জখমী) সহ একই এলাকার মঈন মিয়া পুত্র ফয়ছল আহমদ।
মামলা সূত্রে আসামিরা হচ্ছেন একই এলাকার- বাহার উদ্দিন (৪৭), বুরহান উদ্দিন বুলবুল (৪০), উভয় পিতা- গিয়াস উদ্দিন, আলী হোসেন (৩৫), পিতা- নেছার আলী, সামছুল ইসলাম (৩০), পিতা- আলাই মিয়া, জামাল উদ্দিন (৬০), পিতা- মৃত সোনাই মিয়া, হেলাল মিয়া (৫০), পিতা- মৃত সরকুম আলী, মুবিন (২৬), পিতা- নজিব আলী, রিপন মিয়া (২৭), পিতা- মৃত লকুছ মিয়া, জাকির হোসেন দৌলা(২৮), পিতা- মৃত বারিক মিয়া, সর্ব সাং- নলুয়া, থানা- গোলাপগঞ্জ, জেলা- সিলেট, মহসিন (২৮), পিতা- ছুটাই মিয়া, মারজান আহমদ (২৭), পিতা- নুর মিয়া, উভয় সাং- পীরের চক, পোষ্ট মোক্তিরচক, থানা- শাহপড়ান, এসএমপি, জেলা, সিলেট, মহিব আহমদ (২২), পিতা- মৃত বারিক, আশিক মিয়া (৩৫), পিতা- মৃত কালা মিয়া ও নাফিছ মিয়া (২১), পিতা- হেলাল মিয়া, সর্ব সাং- নলুয়া, পোষ্ট তুরুপভাগ, থানা-গোলাপগঞ্জ, জেলা-সিলেটসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে-আসমিরা আইন অমান্যকারী ও এলাকার চিহৃিত ‘বালু খেকো’। বাদীর বাড়ির সামনে বাদীর পারিবারিক কবরস্থানের পাশ থেকে জোরপূর্বক ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসিতেছে এবং জোরপূর্বক বাদীর বাড়ির নিজেস্ব রাস্তার গাছ-পালা ও পুকুর পাড়ের গাছ-পালা কেটে সে জায়গা দিয়ে পাইপ টেনে অন্যত্র বালু বহন করছে। আহতরা এবং বাদী তাদের নিষেধ করিলে আসামিরা তাদের উপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে মহিলাসহ ৪জনকে গুরুত্বর আহত করে।
হামলা করেও থেমে নেই আসামিরা তাদের চক্রের ১ জনকে থানা পুলিশ বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষীতে গ্রেফতার করলে তারা আরোও বেপরোয়া হয়ে উঠে। তবে অপরাপর আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরাফিরা করলেও কোন এক অদৃশ্য কারণে তাদের গ্রেফতার করছে না থানা পুলিশ বলে অভিযোগ প্রকাশ।
ভুক্তভোগীরা আরো জানান- আসামিদের এমন আচরণে বাড়ির ছোট থেকে বড় সবাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও আসামিরা তাদের প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। নিরাপদে সুন্দরভাবে বাঁচার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন ভুক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন- এ ঘটনায় আমরা থানায় মামলা নিয়েছি এবং একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তের মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তবে ফেসবুকে হুমকির বিষয়ে আমরা অবগত নয় বলে তিনি প্রতিবেদককে জানান।
শেয়ার করুন