ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথের গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামে ময়মনসিংহগামী মহুয়া ট্রেনের সঙ্গে পোশাকশ্রমিকবাহী বাসের সংঘর্ষে আহত আরমান (১৯) মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে!
গতকাল রোববার (১৪ আগস্ট) বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ দিন পর তার মৃত্যু হয়। নিহতের বড় ভাই মাসুদ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আরমান গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বড়নল গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে। সে পাশের তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি গ্রামের জামান ফ্যাশন কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করত। প্রায় ২ মাস ধরে চাকরি করছিলেন।
নিহতের বড় ভাই মাসুদ জানান, দুর্ঘটনার পর থেকেই আরমানকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। দুর্ঘটনায় আরমানের মাথায় আঘাত লেগেছিল। প্রচুর অর্থ খরচ করতে হয়েছে চিকিৎসা করতে গিয়ে। মাথায় বড় ধরনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক বরাদ্দের ১০ হাজার টাকাও তারা পাননি। তবে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ নেই তাদের। আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে চিকিৎসা করতে হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, উপজেলার মাইজপাড়া এলাকায় ট্রেন-বাসের দুর্ঘটনায় আরমান নামে এক শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। আমরা তার পরিবারের কাছে দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা হস্তান্তর করবো।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ জুলাই (রোববার) সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথের গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামে চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে পোশাক শ্রমিকবাহী বাসের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে প্রিয়া নামে এক নারী শ্রমিক এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও ৩ জন নিহত হয়েছে।
শেয়ার করুন