বান্দরবানের রুমা-কেওক্রাডং সড়কে চাঁদের গাড়ি পাহাড়ি খাদে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কেওক্রাডং থেকে রুমায় আসার পথে আধা মাইল দূরে টার্নিং পযেন্টে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
‘নারীর চোখে বিশ্ব’ নামের একটি সংগঠনের হয়ে কেওক্রাডং ভ্রমণে গিয়েছিলেন ওই পর্যটকরা। পরে সবাই চাঁদের গাড়ি করে কেওক্রাডং থেকে রুমায় ফিরছিলেন।
নিহতরা হলেন, মাগুরার বাসিন্দা ফিরোজা বেগম (৫০), ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের পরীক্ষার্থী জয়নব (২৫)। আহতরা হলেন, আঞ্জুমা হক (৩৫), মোছা. রিজভী (৩৪), রাফাল (১১), তার মা রুপা (৪৩), তাহামিদা (২৩), তাজনিন (২৪). আন্জুমান হক (৩৫), ইতু (১৬), স্বর্না (২৩) ও ডা. মাজিলা হক। তাদের অনেকের বাড়ি কুষ্টিয়ায়।
আহত ডা. মাজিলা হক জানান, বিভিন্ন জায়গা থেকে মোট ৫৭ জন তিনটি জিপ গাড়ি (চাঁদের গাড়ি) করে পর্যটনস্পট কেওক্রাডং থেকে ফিরছিলাম, তখন পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার সময় পিছনের গাড়িতে থাকা গাইড ও প্রত্যক্ষদর্শী সিয়ামথাং বম বলেন, আমাদের সামনে গাড়ি ড্রাইভার খুব দ্রুতগতিতে চালাচ্ছিল। দুর্ঘটনার পর থেকে গাড়ি চালক পলাতক রয়েছেন।
মুনথাং বম নামের অপর গাইড বলেন, মোট ৫৭ জন পর্যটকের মধ্যে সকালে ৩৭ জন জিপ গাড়ি করে ফিরছিল। আর বাকি ২০ জন কেওক্রাডংয়ে থেকে যায়। সকালে যারা ফিরছিল, ওই গাড়িটি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়।
রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ মাহবুবুল হক ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন, গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৫০০ মিটার পাহাড়ি খাদে পড়ে যায়।
রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. তন্ময় মজুমদার বলেন, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে সড়কেই আহতদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আতহ ১০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রুমা থানা পুলিশের এসআই মিদন বলেন, ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেয়ার করুন