চুনারুঘাটে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে দুই বোনকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জের নতুন ব্রিজসংলগ্ন খোয়াই নদীর বাঁধে করিমপুর সড়কে দুই বোনকে জোরপূর্বক সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দিবাগত রাতে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় স্থানীয়দের কাছে বিচার চেয়ে পাননি ভুক্তভোগীরা। পরে বাধ্য হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় চুনারুঘাট থানায় গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করেন। পরে নির্যাতনের শিকার দুই বোনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।

ভুক্তভোগী দুই তরুণী নবীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তারা সম্পর্কে একে অপরের আপন চাচাতো বোন। ওই দুই বোন রাজধানীর মগবাজারে তাদের এক আত্মীয়ের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করছেন।

দুই তরুণী জানান, ১৫ জানুয়ারি রাত ১২টার দিকে ঢাকা থেকে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ মোড়ে নামেন। পরে ৫শ টাকা চুক্তিতে উবাহাটা গ্রামের ওস্তার মিয়ার ছেলে সিএনজিচালক কামালের সিএনজি রিজার্ভ করেন ওই দুই বোন। রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ঢাকা রোডের নতুন যাত্রী ছাউনির সামনে থেকে  অটোরিকশাযোগে নিজ বাড়ি নবীগঞ্জের দেবপাড়া ফিরছিলেন। পথিমধ্যে নতুন ব্রিজের মুখে গিয়ে সিএনজিচালক কামাল মিয়া বাই রোডের কথা বলে মহাসড়ক থেকে নেমে খোয়াই নদীর বাঁধে করিমপুর সড়কে প্রবেশ করেন।

ব্রিজের অদূরে করিমপুর সংলগ্ন বাঁধে গিয়ে সিএনজি বন্ধ করে দেন। এ সময় কামালের বন্ধু রায়হান, পারভেজ ও শিবলু ওরফে শরীফ সঙ্গে ছিলেন। সেখানে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক সংঘবদ্ধ  ধর্ষণ করে। পরে তাদের সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার, নগদ ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকাসহ জিনিসপত্র লুটে নেয়। ওই সময় তারা চিৎকার শুরু  করলে ওই চক্রটি পালিয়ে যায়। পরে তারা সেখান থেকে অসুস্থ অবস্থায় এসে স্থানীয়দের অবগত করে অপর একটি গাড়িতে বাড়িতে পৌঁছান। বাড়িতে গিয়ে তারা তাদের ভাইদের জানান। তাদের দুই ভাই ওই এলাকার মুরুব্বি ও জনপ্রতিনিধিদের জানিয়ে ঘটনার ১ দিন পর শুক্রবার চুনারুঘাট থানায় অভিযোগ দেন।

এদিকে ঘটনাচক্রে জড়িত পারভেজ ও রায়হান ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, তারা ধর্ষণ করেননি এবং টাকাও নেননি- সবকিছু কামাল করেছে।

এক ভিকটিমের ভাই জানান, আমার বোনকে চারজন মিলে অমানুষিক নির্যাতন করে অর্থকড়ি হাতিয়ে নিয়েছে। এমন নির্যাতনের কঠোর শাস্তি চাই তাদের।

অপর ভিকটিমের ভাই বলেন, সড়কে নিরাপত্তা নেই। আমার বোনকে তারা অত্যাচার করেছে এর বিচার চাই।

এ রিপোর্ট লেখাকালে দুই তরুণী পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *