ছাতকের উত্তর খুরমা ইউনিয়নের গদারমহল গ্রামে দু”পক্ষের সংঘর্ষে মহিলাসহ ২৫ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ১৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর পুত্র হেলাল উদ্দিন ও মৃত ফয়জুন নুরের পুত্র ফারুক মিয়া পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার ফারুক মিয়ার পুত্র সাদিকুর রহমান বালু আনতে যায় হেলাল উদ্দিনের বাড়িতে। এ সময় তাদের মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাটা-কাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হেলাল উদ্দিনের দাবি সাদিকুর রহমানের কাছে তার টাকা পাওনা রয়েছে।
এ দিকে সাদিকুর রহমান দাবি করেন হেলাল উদ্দিনের কাছে তার টাকা পাওনা আছে। তারা দু”জনই রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন।
বৃহস্পতিবার সকালের কথা কাটা-কাটির ঘটনা নিয়ে শুক্রবার বিকেলে দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে দেশিয় অস্ত্র ও ব্যাপক ইট পাটকেলের ব্যবহার করা হয়েছে। স্থানীয় সালিশগণ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করেছেন।
দু’পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত আব্দুল হান্নান,আনর মিয়া, শামীম আহমদ, মুক্তাদির হোসেন,সাদিকুর রহমান, আবুল হোসেন, রাজিয়া বেগম,রিয়াজ উদ্দিন,গিয়াস উদ্দিন,শাহিন মিয়া,সেলিম মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জাহেদ মিয়া,হেলাল উদ্দিন,কবির আহমদ, আশিক মিয়াসহ আহতদের কৈতক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গদারমহল গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা স্বীকার করে উত্তর খুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ জানান, বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
শেয়ার করুন