সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারি আব্দুল কুদ্দুস একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকাকে দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
বুধবার (৩ মে) দুপুরে এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভিকটিম সহকারি শিক্ষিকা বলেন, ‘আমাকে সে দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে মোবাইলে মেসেজ ও ফোনে কুপ্রস্তাব করে আসছে। আমি তার কথায় রাজি না হওয়ায় সে আমার চাকরি খেয়ে ফেলবে বলেও হুমকি দিচ্ছে। আমি নিরুপায় হয়ে গত ২ মে মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।’
উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালন বলেন, একজন সহকারী শিক্ষিকা অভিযোগ করেছেন। আমরা তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার তদন্ত কর্মকর্তা রাপ্রুচাই মারমা বলেন, সহকারী শিক্ষিকার সাথে একটা ঝামেলা হয়েছে। আমাকে তদন্ত কমিটিতে রাখা হয়েছে।
তদন্তকারী প্রধান এলজিডি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, সহকারী শিক্ষিকার অভিযোগে আমাকে প্রধান করে তিন সদস্য কমিটির করা হয়। আগামী কাল তদন্ত কাজ শুরু হবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজেদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তিন সদস্য কমিটি করে দিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বিষয়টি জানা জানি হলে শিক্ষক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস এম আব্দুর রহমান বলেন, আজ তাকে তাহিরপুর স্ট্র্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অফিস সহকারী আব্দুল কুদ্দুস মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে ফোনটি বন্ধ থাকায় আলাপ করা সম্ভব হয় নাই।
শেয়ার করুন