মামলায় জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. মো. শফিকুর রহমানের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত।
তার আইনজীবী জামিন চেয়ে মঙ্গলবার শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ তার জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল আতিক বিন কাদের তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এরআগে গত ১২ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
১৩ ডিসেম্বর তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর যাত্রাবাড়ী থানার সন্ত্রাস দমন আইনে করা মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য তার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
অন্যদিকে, তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২১ ডিসেম্বর সাত দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর ফের তার বিরুদ্ধে আট দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের পরিদর্শক আবুল বাশার।
অপরদিকে তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নুর তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর তার আইনজীবী তার জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেন।
এর আগে গত বছরের ৯ নভেম্বর শফিকুর রহমানের ছেলে রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। তার ছেলের (সাদিক সাইফুল্লাহ) বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় তাকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
জামায়াতের আমিরের ছেলে ডা. রাফাত চৌধুরী নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাকে যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। একই মামলায় শফিকুরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
শেয়ার করুন