দলের অবস্থা যখন খাদের কিনারায় তখন নিজে করলেন গোল। অপর গোলেও রাখলেন অবদান। সব মিলিয়ে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে জয়ের রাতে মেসি ছিলেন অনন্য। শুধু তাই নয়, এই ম্যাচে মাঠে নেমে ও গোল করে কিছু রেকর্ডও গড়েছেন তিনি।
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি ২১ ম্যাচ খেলার রেকর্ড এতদিন ছিল ২০২০ সালে ওপারে পাড়ি জমানো ম্যারাডোনার। সেখানে ভাগ বসালেন মেসি। গ্রুপের শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষে নামলেই রেকর্ডটি হয়ে যাবে তার একার (২২)।
বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার মোট গোল ৮টি। সৌদি আরব ম্যাচের পর মেক্সিকোর বিপক্ষেও জালের দেখা পেয়ে মেসিরও হয়ে গেল ৮ গোল। ১০ গোল নিয়ে আর্জেন্টাইনদের মধ্যে সবার উপরে আছেন কেবল গাব্রিয়েল বাতিস্তুতা।
১৯৬৬ সালের টুর্নামেন্ট থেকে ধরে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে একই ম্যাচে গোল এবং গোলে সহায়তার কীর্তি মেসির আগে থেকেই। ২০০৬ আসরে সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে তিনি এই অর্জনে নাম লেখান ১৮ বছর ৩৫৭ দিন বয়সে। এবার সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় হিসেবেও এই কীর্তি গড়লেন তিনি মেক্সিকোর বিপক্ষে, ৩৫ বছর ১৫৫ দিন।
বিশ্বকাপে নিজের সবশেষ চার ম্যাচেই গোলে সম্পৃক্ত থাকল মেসির নাম। গোল ও অ্যাসিস্ট, দুটোই সমান তিনটি করে। জাতীয় দলের হয়ে টানা ৬ ম্যাচে জালের দেখা পেলেন আর্জেন্টিনার রেকর্ড গোলস্কোরার। এমনটা করে দেখিয়েছিলেন তিনি আগেও একবার, ২০১১ সালের নভেম্বর থেকে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচসেরা মেসি। যা বিশ্বকাপে তার সপ্তমবার। বিশ্বমঞ্চে অফিসিয়ালি কোনো খেলোয়াড়ের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ সেরার পুরস্কার জয়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ।
লুসাইল স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা-মেক্সিকো ম্যাচ গ্যালারিতে বসে দেখেছেন প্রায় ৮৮ হাজার দর্শক। গত প্রায় তিন দশকে বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচে যা সর্বোচ্চ। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপের ফাইনালে দর্শক ছিল ৯৪ হাজার।
শেয়ার করুন