জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা

বিশ্ব

সিরিয়ায় হামলা বন্ধ করতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সেই আহ্বান উপেক্ষা করে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, শুক্রবার বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দামেস্কের নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত সিরিয়া সেনার চতুর্থ ডিভিশনের সদর দফতর ও রাডার স্টেশন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

একনায়ক আসাদের শাসন থেকে মুক্তির জন্য শুক্রবার রাতে সিরিয়ার নাগরিকদের উৎসব পালনের জমায়েতেও বোমা ফেলেছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান।

এ যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই পশ্চিম এশিয়া সফরে গিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি জর্ডনের সুলতান দ্বিতীয় আবদুল্লা এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে শুক্রবার সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।

এইচটিএস-নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার নতুন সরকার ইসরায়েলি হামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়ার নতুন সরকারি মুখপাত্র ওবেদা আরনৌত জানিয়েছেন, একটি বিচারবিভাগীয় ও মানবাধিকার কমিটির গড়ে সংবিধান পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় রদবদলের বিষয়টি তাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে।

কিন্তু তার আগেই ইসরায়েলি সেনা সিরিয়ার মানচিত্র বদলে দিতে পারে বলে সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে মনে করছেন।

গত রোববার প্রেসিডেন্ট আসাদ সরকারকে উৎখাত করে সিরিয়ার রাজধানী দখল করেছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথ বাহিনী। কিন্তু যুদ্ধ শেষ হয়নি।

সিরিয়ার ক্ষমতার পালাবদলের পরই নেতানিয়াহু সরকার জানিয়েছিল, সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা প্রতিরোধে একটি ‘নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল’ (বাফার জোন) গঠন করা হবে। আর তা হবে সিরিয়ার ভূখণ্ডে!

১৯৭৩ সালের যুদ্ধের পর গোলান মালভূমি সংলগ্ন ‘বিতর্কিত অঞ্চল’-এ যে বাফার জোন তৈরি করা হয়েছিল, তা ইতিমধ্যেই দখল করে নিয়েছে নেতানিয়াহুর বাহিনী। এর পরে ইসরায়েলি প্যারাট্রুপার এবং সাঁজোয়া বাহিনী ‘গ্রাউন্ড অপারেশন শুরু করেছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *