দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনপদ সিলেটে বেড়েই চলছে শীতের তীব্রতা। প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রা। দিনের বেলায় স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকলেও বিকেল থেকে কমতে শুরু করে।
রাতে তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে পড়তে থাকে ঘন কুয়াশাও। পাশাপাশি হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়েও দিচ্ছে। মৌসুমের শুরুতেই এমন শীতের তীব্রতার কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়ক চলাচলে বিঘ্নিত হচ্ছে। সড়ক, মহাসড়কে বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যানগুলোকে হেডলাইন জ্বালিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলতে দেখা গেছে। আর আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে গ্রাম-গঞ্জের অসহায় মানুষরা।
কৃষক শহিদুল ইসলাম (৫৫) বলেন, ‘ঠাণ্ডা বাতাস ও তীব্র শীত উপেক্ষা করে বেগুন ও কাঁচা মরিচ ক্ষেতের পরিচর্য়া করতে হচ্ছে। আমরা গরীব মানুষ, শীতের কাপড় কেনার সামর্থ্য নাই। তাই ঠাণ্ডার মধ্যেও কাজ করতে হচ্ছে।’
কৃষক মান্নান শেখ (৫০) বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে খুব শীত পড়েছে। কুশিয়ারা তীরে আমার বাড়ি, রাত হলেই নদীর ঠাণ্ডা বাতাস শিনশিন করে গায়ে লাগে। গরিব মানুষ, টাকা-পয়সা তেমন নাই। এ কারণে ছেলে-মেয়েদের শীতের কাপড় কিনে দিতে পারি নাই।’
এদিকে, শীতের তীব্রতা বাড়ায় জেলার নিম্নআয়ের মানুষজন পুরাতন কাপড়ের বাজারে ভিড় করছেন। শহরের বন্দরবাজার,হকার্স মাূকেট,হাসান মার্কেট এলাকার পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে স্বল্প আয়ের মানুষের ভিড় দেখা গেছে। এতে বিক্রি বেড়েছে কাপড়ের দোকানগুলোর।
পুরাতন কাপড় কিনতে আসা রিক্সা চালক সুজাব আলী (৬০) বলেন, ‘কঠিন ঠাণ্ডা পড়েছে। এত ঠাণ্ডায় কাজ করতে পারি না। কনকনে শীতের কারণে সোয়েটার কেনার জন্য এসেছি। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় কিনতে পারছি না।’
শহরের হাসানা মার্কেট এলাকার পুরাতন কাপড়ের ব্যবসায়ী বাবু শেখ (২৫) বলেন, গত ১ সপ্তাহ ধরে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেনা বেচা বেড়েছে, দাম আগের মতোই আছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানাযায়,সারা দেশে চলতি মাসে ৩টি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। এর মধ্যে একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ থাকবে। শুধু তাই নয়, জানুয়ারি মাসে স্বাভাবিক যে তাপমাত্রা থাকে, এবার তার চেয়েও কমে যেতে পারে।
শেয়ার করুন