ডেস্ক : গত ৫ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর নিত্যপণ্যসহ সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম একলাফে বেড়ে যায়। এরপর গত আড়াই মাসে বৃদ্ধি ক্রমাগত উচ্চ সূচকের দিকে। মাঝে জ্বালানি তেলের দাম এক দফা কমানো হলেও এর ছিটেফোঁটা প্রভাবও পড়েনি বাজারে। দাম বৃদ্ধির কবলে পড়ে দেশের সাধারণ মানুষের অবস্থা খুবই কাহিল। দাম বাড়ার দৌরাত্ম্যে ক্রেতারা অসহায়। এক প্রকার প্রতিদিনই দাম বাড়ছে পণ্যের।
৫ আগস্টের পর ১৮ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় আড়াই মাসের বাজার দর বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এ সময়ে সব পণ্যেরই দাম ক্রমাগত বেড়েছে। আর ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে খোলা আটার মতো প্রধান খাদ্যশস্যের দাম ৯৬ শতাংশ বেড়েছে।
এর পেছনে কখনো ডলার, কখনো জ্বালানি তেল, আবার কখনো পরিবহন খরচ বাড়ার অজুহাত দেখানো হয়েছে। সরেজমিনে মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হয়।
খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম বাড়লেও তাদের কিছু করার নেই। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, বাজারের অবস্থা খুব খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি বাজার যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এদিকে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমানের।
আগস্টের প্রথম দিকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর ব্রি-২৮ চালের কেজি ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা বিক্রি হয়, যা আগে ছিল ৫৩ টাকা। ঠিক একই সময়ে মিনিকেট প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৬৯ থেকে ৭০ টাকায়। সেই হিসাবে সব ধরনের চাল ৫০ কেজির বস্তায় বেড়েছে অন্তত ১০০ টাকা।
সেপ্টেম্বরে দেখা গেছে ব্রি-২৮ চালের কেজি বিক্রি হয় ৬০ টাকা, মিনিকেট ৭২ টাকা কেজি, নাজিরশাইল ৮০-৮২ টাকা, আমন ৬২ টাকা, কাটারিভোগ কেজিপ্রতি ৮২ টাকায় বিক্রি হয়। আর অক্টোবরে ব্রি-২৮ চাল কেজিপ্রতি ৬০ টাকা, মিনিকেট ৭৫ টাকা, নাজির শাইল কেজিপ্রতি ৯৫ টাকায় হচ্ছে। এ হিসাবে গত আড়াই মাসে চালের দাম ক্রমাগত বেড়েছে।
এছাড়া ২০২০ সালে মোটা চাল বিক্রি হত ৩০ টাকা, সেটি ২০২১ সালে বিক্রি হয় ৪৬ টাকায়। এখন সেটি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৪৭ টাকায়। দুই বছরের ব্যবধানে মোটা চালের দাম ৫৩ শতাংশ বেড়েছে। আর সরু চাল ২০২০ সালে ৪৫ টাকা, ২০২১ সালে ৬০ টাকা, এখন সেটি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৪৪ শতাংশ।
সবজির বাজারের বিশ্লেষণে দেখা গেছে আগস্টে টমেটো বিক্রি হয় ৮০ থেকে ১০০ টাকা। বেগুন বিক্রি হয় ৭০-৮০ টাকা। চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, আলু ৩০ টাকা। এছাড়া আকার ভেদে চালকুমড়ো প্রতি পিস ৬০ টাকা, লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়। লেবুর হালি ১৫ থেকে ২০ টাকা, কাঁচকলার হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
আর সেপ্টেম্বরে টমেটো বিক্রি হয় ৮০ থেকে ১২০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা। আলু ৪০ টাকা কেজি, পটল ৬০ টাকা, শসা ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, করলা ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, সিম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা , কচুর মুখি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সবজি ভেদে দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়।
আর গতকাল মঙ্গলবার সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুলা কেজি প্রতি ৫০ টাকা, শিমের কেজিপ্রতি ১৩০ থেকে ১৪০, লম্বা বেগুন কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গোল বেগুন কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, শসা কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ থেকে ৭০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গাজর কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৮০ টাকা, আলুর কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, কাঁচকলা এক হালি ৪০ টাকা, লেবু এক হালি ২০ থেকে ৩০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতিটি আকার ভেদে ৪০ থেকে ৬০ কাটা, চালকুমড়া প্রতিটি আকার ভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ আকার ভেদে ৬০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির বাজারে দুয়েকটির দাম কমলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা বাড়তিই রয়েছে। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। বাজার করার অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ছয় মাস আগেও এক হাজার টাকায় যে পরিমান বাজার করতাম সেই বাজার এখন প্রায় দুই হাজার টাকায় পৌঁছেছে। এভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে না খেয়ে মরতে হতে পারে আমাদের। শক্ত হাতে সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
আনিসুর রহমান নামে আরেকজন বলেন, আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ এখন বেঁচে থাকাই দায়। কারণ, ডিম থেকে শুরু করে প্রতিটি সবজির দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। কিন্তু আমার বেতন কি সেভাবে বেড়েছে? বাড়েনি। তাহলে অতিরিক্ত খরচের টাকা আমি কীভাবে যোগান দেবো?
পণ্যের দাম বাড়ার বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, কী বলবো আসলে, আমি গতদিন পটলের প্রতিকেজি কিনেছি ৮০ টাকায়। বাজারের অবস্থা খুব খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি বাজার যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, বাজারের কারসাজি ও সিন্ডিকেটের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করেছি। এখন ঠিক না হলে আমরা আরো কঠোর হয়ে যাবো।
আগস্টে শিং মাছের কেজি বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৫২০ টাকা, রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া মাছের কেজি ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৮০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। চিংড়ি মাছ মাঝারি সাইজের প্রতি কেজি বিক্রি হয় ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায়, প্রমাণ সাইজের চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১১৫৫ থেকে ১৮৫০ টাকা কেজি দরে।
সেপ্টেম্বরের মাছের বাজারের চিত্র ছিলো, শিং মাছ আকার ভেদে ৫২০ থেকে ৬২০ টাকা কেজি, তেলাপিয়া ২১০ থেকে ২২০ টাকা, ট্যাংরা মাছের কেজি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা, রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা, বোয়াল আকার বেধে ৪৯০ থেকে ৬২০ টাকা, পাঙাশ ১৯০ থেকে ২১৫ টাকা, কাতল মাছ ৩৮০ থেকে ৩৯০ টাকা, কই মাছের কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, শোল মাছ ৪২০ থেকে ৬১০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে।
আর মঙ্গলবার মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শিং মাছ আকার ভেদে ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি, রুই মাছের কেজি ৩৬০ থেকে ৩৮০ টাকা, পাঙাশ ১৮০ থেকে ২১০ টাকা কেজি, ট্যাংরা মাছের কেজি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০, কই মাছের কেজি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, বোয়াল আকার ভেদে ৪৮০ থেকে ৭০০ টাকা, শোল মাছ প্রতি কেজি ৪২০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কথায় মাছের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।
আগস্টে তেলের দাম বাড়ার পর ব্রয়লার মুরগি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, সোনালি মুরগির প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়া মুরগির ডিমের হালি ৪০ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হয়। সেপ্টেম্বরে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৭০ থেকে ১৮০, সোনালি মুরগি প্রতিকেজি ৩২০ থেকে ৩২৫ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৮০ থেকে ২৮৫ টাকায় বিক্রি হয়। আর মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হয় ৪২ থেকে ৪৫ টাকায়।
অক্টোবরে এসে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০, সোনালি মুরগি ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিম প্রতিটি ১৩ টাকা, এক হালি ৫০ টাকা ও ডজন ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থ্যাৎ দাম বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।
অথচ ২০২০ সালে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হত ১১০ টাকা কেজি, ২০২১ সালে সেটি ১২০ টাকা কেজি আর বর্তমানে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সে হিসেবে গত ২ বছরে ব্রয়লার মুরগির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৪ শতাংশ।
আগস্টে গরুর মাংস বিক্রি হয় ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা, খাসির মাংস ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হয়। সেপ্টেম্বরে গরুর মাংস ৬৬০ থেকে ৬৮০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকায় বিক্রি হয়। অক্টোবরে এসে গরুর মাংস ৬৮০ টাকা থেকে ২০ টাকা বেড়ে ৭০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতিকেজি ৯৫০ থেকে ৯৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, সাদা চিনি প্রতিকেজি ৯৫ টাকা, লাল চিনি ১১০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান মসুর ডাল ১২০ টাকা কেজি, মুগডাল ১১৫ টাকা, বুটের ডাল কেজিপ্রতি ১০০ টাকা, দেশি রসুন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, চায়না রশুন ১২০ টাকা, আদা ১৫০ টাকা, তীর আটা প্রতি কেজি ৬২ টাকা, ময়দা কেজিপ্রতি ৭৫ টাকা, সয়াবিন তেল এক লিটার ১৭৮ টাকা, সয়াবিন তেল পাঁচ লিটার ৮৮০ টাকা, আর খোলা সয়াবিন তেল ১৬২ থেকে ১৬৫ টাকা, এসইআই ও ফ্রেস লবণ প্রতিকেজি ৩৮ টাকা, ৫০ গ্রাম রাঁধুনি পাঁচ ফুরন গুড়ো ২২ টাকা, ২০০ গ্রাম রাঁধুনি ধনিয়া গুড়ো ৬০ টাকা, ২০০ গ্রাম রাঁধুনি গুড়ো জিরা ১৭০ টাকা, ৪০ গ্রাম রাঁধুনি গরম মশলা ৬৮ টাকা, ২০০ গ্রাম রাঁধুনি গুড়ো হলুদ ৯০ টাকা, ২০০ গ্রাম রাঁধুনি গুড়ো মরিচ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত আড়াই মাসে শুধুমাত্র ভোজ্যতেল ছাড়া সব পণ্যের দাম ৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।
অথচ ২০২০ সালে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হত ৮৬, ২০২১ সারে এটি বিক্রি হত ১০৭ টাকা আর এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬২ টাকা। সে হিসেবে গত ২ বছরে বেড়েছে ৮৮ শতাংশ।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, আমাদের দেশে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্যবৃদ্ধি ও ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে অতিরিক্ত। ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে কারসাজি করে দাম বাড়িয়েছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।
তিনি বলেন, সবকিছুর দাম বেড়েছে! কিন্তু মানুষের আয় বাড়ছে না, সে-জন্য মানুষ কষ্টে আছে। খেয়ে না খেয়ে মানুষ জীবন-যাপন করছে। এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা।
‘মানুষ ভালোভাবে চলবে, এজন্য সরকার চেষ্টা করছে। তবে আরও বেশি নজর দেওয়া উচিত সাধারণ মানুষ কিভাবে বেশি আয় করতে পারে। এবং সবাইকে আরও সাশ্রয়ী হতে হবে বলে আমি মনে করি।’-যোগ করেন গোলাম রহমান।
শেয়ার করুন