বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় সীমান্তবর্তী বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিলেটের এক যুবকসহ পাঁচ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এরা সকলেই নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার’ নামের জঙ্গি সংগঠনের সদস্য বলে জানিয়েছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে র্যাব-১৫ এর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। বান্দরবানের মেঘলা জেলা পরিষদের কনফারেন্স হলে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নোয়াখালীর আবদুল কুদ্দুসের ছেলে নিজামুদ্দিন হিরণ ওরফে ইউসুফ (৩০), কুমিল্লার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সালেহ আহমেদ ওরফে সাইহা (২৭), সিলেটের মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. সাদিকুর রহমান সুমন ওরফে ফারকুন (৩০), কুমিল্লার মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে মো. বাইজিদ ইসলাম ওরফে মুয়াজ ওরফে বাইরু (২১) ও কুমিল্লার মো. মজিবুর রহমানের ছেলে ইমরান বিন রহমান শিথিল ওরফে বিল্লাল (১৭)।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, “সম্প্রতি নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার’র শীর্ষ নেতাদের ধরতে পাহাড়ে অভিযান শুরু হয়। নতুন করে কথিত হিজরতের নামে ঘরছাড়া তরুণরা জামাতুল আনসারের হয়ে পাহাড়ি এলাকার আস্তানায় আশ্রয় নেয়। এসব আস্তানায় হিজরত করা তরুণদের ভারি অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।”
তিনি আরও জানান, উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় হিজরতের নামে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হওয়া বিভিন্ন জেলার ৫০ তরুণের তথ্য পায় র্যাব, তাদের মধ্যে ৩৮ জনের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা প্রকাশ করা হয়। বান্দরবানের সীমান্তবর্তী সীমান্তঘেঁষা দুর্গম পাহাড়ে বাড়িছাড়া কিছু তরুণ জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিচ্ছে, নতুন এ জঙ্গি সংগঠনকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ (কেএনএফ) নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, “তিন মাস ধরে টানা অভিযান চালিয়ে বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র এ পর্যন্ত ১২ ও কেএনএফ এর ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।”
উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ অক্টোবর বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির সীমান্তবর্তী বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় অভিযান চালিয়ে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র ৭ জন ও কেএনএফ এর ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল র্যাব।
শেয়ার করুন