বিদ্যূত-গ্যাস-চাল-ছোলা-ডাল-তে
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের হয়ে জেলা পরিষদের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাধারণ মানুষের জীবন দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে চরমভাবে বিপর্যস্ত। চাল, আটা, তেল, চিনি, ডাল, ময়দা, মশলাসহ নিত্যপণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কাঁচা তরিতরকারির দামও। দ্রব্যমূল্যের এই পাগলা ঘোড়া কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার। মন্ত্রীরা প্রায়ই বলেন দেশে খাদ্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। পর্যবেক্ষকরা বলছেন সিন্ডিকেট ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সরকার রমজান বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
বক্তারা বলেন, দেশে এপর্যন্ত ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে, এর মধ্যে ৭টি দলীয় সরকারের অধীনে আর ৪টি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। দলীয় সরকার অধীনে নির্বাচনে মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি।আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ৪টি নির্বাচন আপেক্ষিক অর্থে সুষ্ঠু হয়েছিল-মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছিল। যদিও এই নির্বাচন গুলো কালোটাকা, পেশীশক্তি, আঞ্চলিকতা, সাম্প্রদায়িকতার প্রভাবমুক্ত ছিল না। তাই নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার করে দলনিরেপক্ষ তদারকি সরকার ও সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন।
সমাবেশে বক্তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করার দাবি জানান।
শেয়ার করুন