ধোপাদিঘী সিলেট নগরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। দখল-দূষণে হারিয়ে যাওয়া ধোপাদিঘী উদ্ধার করে ভারত সরকারের অর্থায়নে নান্দনিক ওয়াকওয়ে তৈরি করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। এটি গেল মাসে সরকারের দুই মন্ত্রী ও ভারতীয় হাইকমিশনার উদ্বোধন করেন।
পরিত্যক্ত দিঘীকে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে তৈরি করতে বাঁধানো হয় একাধিক ঘাঁট ও স্থাপন করা হয় দৃষ্টিনন্দন ল্যাম্পপোস্ট। তবে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে হঠাৎ করেই ল্যামপোস্ট খুলে ফেলে কারা কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় ওয়াকওয়েতে। খবর পেয়ে ওয়াকওয়েতে ছুটে আসেন সিসিক মেয়র ও কাউন্সিলররা। পরবর্তীতে বিষয়টি জেনে স্থানীয় সাংসদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্টদের জানান সিসিক মেয়র। তবে তাৎক্ষনিকভাবে কারা কর্তৃপক্ষের মন্তব্য জানতে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের ডিআইজি প্রিজন মো. কামাল হোসেন’র সঙ্গে কথা বলে সিলেটভিউ।
ধোপাদিঘী পাড় সংলগ্ন কিছু জায়গা কারা কর্তৃপক্ষের আওতাধীন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোন সরকারী প্রতিষ্ঠানের জায়গা অন্য সরকারী প্রতিষ্ঠান যদি নিয়ে হয় তবে আলোচনার মাধ্যমে নিতে হয়। সিলেট সিটি কর্পোরেশন যদি কারা কর্তৃপক্ষের কোন জায়গা নিতে চায় তবে অনুমতি নিতে হবে।’
ডিআইজি প্রিজন বলেন, ‘আমাদের সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ এখনও কিছু আসামী কারাগারে আছে। কারাগারে কার্যক্রম চলমান আছে। আর এখানে কোন স্থাপনা তৈরি করতে হলে অবশ্যই সরকারে অনুমতি তো লাগবে। এখন হয়তো কোন খুঁটি উনারা (সিসিকি) স্থাপন করতে গেছেন। আমার ডেপুটি জেলার সেখানে ছিলেন এবং তিনি সেখানে কথাবার্তা বলেছেন। এখন আমাদের জেল সুপার সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। মোটামুটি বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে।’
ওয়াকওয়ে পরিদর্শন শেষে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সকালে হঠাৎ করে কারা পুলিশ এসে ওয়াকওয়ের ল্যামপোস্ট ভাংচুর করে। এখানে কাজে থাকা শ্রমিকরা বিষয়টি আমাদেরকে জানালে দ্রুত চলে আসি। আমি বিষয়টি সিলেটের জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি।’
সিলেট সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল শাখা থেকে এই প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়। সিসিক ধোপাদিঘীকে নতুন রূপ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর ভারত সরকার এগিয়ে আসে এর অর্থায়নে। ‘ধোপাদিঘী এরিয়া ফর বেটার এনভায়মেন্ট অ্যান্ড বিউটিফিকেশন’ নামে প্রকল্প গ্রহণ করে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু হয়।
শেয়ার করুন