সোলায়মান, টাংগাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নে আপত্তিকর ভিডিও ধারন করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৫ লক্ষ টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এঘটনাটি ঘটেছে নগারপুর উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের কলমাইদ গ্রামে। ঘটনার স্বীকার মোঃছানোয়ার হোসেন ওই ইউনিয়নের শুনশী গ্রামের মৃত আ. ছাত্তার মিয়ার ছেলে কলমাইদ বাজারের বিকাশ ব্যবসায়ী।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ছানোয়ার হোসেন দীর্ঘ দিন ধরে কলমাইদ বাজারে বিকাশের ব্যবসা করে আসছেন। গত ২৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে বেটুয়াজানী গ্রামের মো. চান মিয়ার বাড়িতে পাওনা টাকা দিতে যায়। চান মিয়াকে তার পাওনা টাকা বুঝিয়ে দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে আসলে বেটুয়াজানী গ্রামের মো. কুজরত আলী (৩৫) পিতা মৃত. মো. আতোয়ার মিয়া, মো. মাঠু মিয়া (৪৫) মো. লুৎফর রহমান (৪৮) পিতা. মৃত মেহের আলী, সাত্তার মিয়া পিতা (৩০) পিতা গোপাল মিয়া ও বানিয়াকুরা গ্রামের নুরু মিয়া ছেলে মো. লাভু মিয়া (৫৫) ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার গতিরোধ করে। এসময় মাঠু মিয়া তার কাছে ৩ লক্ষ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে ভয় ভীতি দেখাতে থাকে। ছানোয়ার টাকা দিতে অস্বীকার করলে লোহার রড দিয়ে তাকে এলোপাথাড়ি ভাবে মারধর করে । পরে নাগরপুর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আমজাদ আলী ছেলে মো. করিম মাষ্টারকে ফোন করে ডেকে আনে দুর্বৃত্তরা। করিম মাষ্টারের নির্দেশে ছানোয়ারকে হাত পা বেঁধে মাটিতে ফেলে মারতে থাকে। নিরুপায় হয়ে ছানোয়ার প্রাণ বাঁচানোর জন্য ৫০ হাজার টাকা দিতে রাজি হয়। করিম মাষ্টারসহ সকলে মিলে গভীর রাতেই ছানোয়াকে নিজ দোকানে নিয়ে এসে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে হাত পা বাধা অবস্থায় তাকে দোকানে ফেলে রেখে চলে যায়। এঘটনায় ছানোয়ার বাদী হয়ে টাঙ্গাইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাগরপুর আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আমলী আদালতে মামলা নং ৩২৯/২২।
শেয়ার করুন