নাটকীয় ম্যাচ শেষে সেমিতে বাংলাদেশ

খেলাধুলা

ডাগ আউটে বসে কোনোরকমে চোখের পানি ধরে রেখেছেন বিরানদিপ সিং। শেষ বলের আগেই যে তিনি ফিরে গেছেন, দলের তখনো চাই ৪ রান! বিরানদিপের সে কান্নাকে আনন্দের কান্নাতে আর রূপ দেওয়া হয়নি মালয়েশিয়ার। ম্যাচটা হেরেছে ২ রানে। তাতে যেন রীতিমতো ঘাম দিয়ে জ্বর সেরেছে বাংলাদেশের। ম্যাচটা হেরে বসলে যে বিদায়ঘণ্টাও বেজে যেত! তবে তা হয়নি শেষমেশ। আর তাতেই দল চলে গেছে এশিয়ান গেমসের সেমিফাইনালে।

মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশ ছিল ব্যাকফুটে। শুরুতেই চলে গিয়েছিল ৩ উইকেট, তাও মোটে ৩ রান তুলতেই! সেখান থেকে যে বাংলাদেশ ১১৬ রান তুলে ইনিংস শেষ করেছে, সেটার কৃতিত্বের একটা বড় অংশই পাবেন সাইফ হাসান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ব্যাট করতে নেমেছিলেন। সেই থেকে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত লড়লেন।

শুরুতে আফিফ হোসেনের সঙ্গ পেয়েছিলেন, এরপর শাহাদাত হোসেন দিপু, আর জাকের আলী অনিকের। তবে তাদের কেউই ২৩ এর বেশি রান করতে পারেননি। এদিকে সাইফ তুলে নেন ৫০। তাতেই বাংলাদেশ শুরুর ধাক্কা সামলে শেষমেশ পায় ১১৬ রানের পুঁজি।

মালয়েশিয়ার জবাবটাও সহজ হয়নি আদৌ। রিপন মণ্ডলের আঘাতে শুরুর উইকেট খোয়ানোর পর আফিফের জোড়া উইকেট শিকার, ১৮ রান তুলতেই ৩ উইকেট খুইয়ে বসে মালয়েশিয়া। দশম ওভারে ওপেনার সৈয়দ আজিজ যখন ফিরছেন ৩১ বলে ২০ রান করে, দলের রান তখন ৪০ ও পেরোয়নি।

তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু এরপরই। সেটা নেতৃত্ব দিয়েছেন বিরানদিপ। শুরুতে বিজয় উন্নি এরপর আইনুল হাফিসকে সঙ্গে নিয়ে লড়ছিলেন জয়ের জন্য। শেষ দিকে একের পর এক ছক্কা আর চারে লক্ষ্যটা নেমে আসে ৬ বলে ৫ রানে।

তখনই তালগোল পাকিয়ে ফেললেন বিরানদিপ। শেষ ওভারের প্রথম তিন বলে আফিফ রান দেননি একটিও। তাতেই যেন চাপটা চলে গিয়েছিল মালয়েশিয়ার ওপর। সেটা সামলাতেই কি না, বিরানদিপ ছক্কার চেষ্টা করে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে। পরের দুই বলে আফিফ দিয়েছেন দুই রান। তাতেই মালয়েশিয়া পোড়ে হতাশায়, আর বাংলাদেশ স্বস্তির জয় নিয়ে চলে যায় সেমিফাইনালে। শেষ চারে তাদের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান, যারা দিনের শুরুর ম্যাচে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *