ফারুক আহমদ
স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটের বিশ্বনাথে একটি মামলায় ১০ জনের জামিল মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (১২ অক্টোবর) সিলেট জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রাট আদালতে তাদের জামিন শুনানি করলে আদালত সকল আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। বিষটি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন বিবাদী পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট এস এম গফুর।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বনাথের চাউলধনী হাওর নিয়ে কৃষক ও সাবলীজ গৃহীতাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। সাবলীজ গ্রহীতারা আইনের তোয়াক্কা না করে কৃষকের জমি দখল করে পানি সেচ দিয়ে মাছ নিধন করে আসছে। এতে গত কয়েক বছরে বোরো ফসল উৎপাদনে প্রায় ২৫ হাজার কৃষকের শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এক পর্যায়ে কৃষকেরা গঠন করেন চাউলধনী হাওর ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলন কিমিটি। তারা কৃষি বাঁচাতে হাওরে সরকারি জলমহাল সীমানা নির্ধারণের জন্য জেলা উপজেলা ও মন্ত্রনালয়ে একের পর এক আবেদন করেন। কিন্তু কোনভাবেই হাওর খেকুদের দমন করতে পারছেন না তারা।
সুমেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাইফুলকে দীর্ঘদিন পর আন্দোলনকারিরা ঢাকার একটি আবাসিক বিল্ডিং থেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। ৩২ আসামির মধ্যে সাবলীজ গ্রহীতা লন্ডনি সাইফুল জেল হাজতে রয়েছেন। বাকি আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ফের হাওর দখলের নানা পায়তারা করছেন।
কৃষকদের বক্তব্য, গত ৯অক্টোবর সাবলীজ প্রতারনা মামলার আসামি জুনাব আলী বাদি হয়ে ১১ জনের নামে একটি মিথ্যা, সাজানো মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৬।
মামলায় নৌকা চুরি ও মারামারি হয়েছে মর্মে ধারা উল্লেখ করা হয়। চাউলধনী হাওর ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আবহায়ক আবুল কালাম বলনে, গত ৩অক্টোর সোমবার ফের সাবলীজ গ্রহীতা আমতৈল (জমসেরপুর) গ্রামের আবু বক্করের পুত্র মতিউর রহমান, আব্দুস সমদের পুত্র রাকিব আলীর লোকজন বিপুল পরিমান বাঁশ নিয়ে মৌলভীরগাঁও গ্রামের পাশ দিয়ে নৌকা যুগে হাওরে নামতে যান।
এসময় কৃষকরা তাদের জমিতে নামতে বাঁধা দিলে তাদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে কৃষকরা থানা পুলিশকে খবর দিলে পলিশ ও দেশের কয়েকটি দৈনিক জাতীয় প্রত্রিকার সাংবাদিকরা ঘটনাস্থ আসেন এবং দীর্ঘ আলোচনা শেষে আমতৈল গ্রামের ইউপি সদস্য ইমামউদ্দিনের ছেলের মাধ্যমে ৭ ব্যক্তিকে ও তাদের নৌকা মালামাল বুজিয়ে দেয়া হয়।
এখানে কোন সংঘাত সৃস্টি হয়নি। হাওর খেকুরা ঘটনা সাজিয়ে থানায় মামলা দিয়েছে। আমরা আদালতে হাজির হলে আদালত সাজানো ঘটনা বুঝতে পেরে সকলের জামিন মঞ্জুর করেন। আমরা আদালতের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। আমরা এই সাজানো মামলা প্রত্যাহার চাই। অন্যতার আন্দেলনের মাধ্যমে দূণীতিবাজদের দমন করা হবে।
শেয়ার করুন