রিংকু দেবনাথ
মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রউফ এর স্ত্রী রহিমা বেগম (৫৭)।এক হাত ও এক পা পঙ্গু। ক্রেচে ভর দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। তবুও ভিক্ষা করতে চাননা তিনি। করেন ইট ভাঙ্গার কাজ। রহিমা জানান, যেখানে নতুন পাকা ঘরের কাজ হচ্ছে দেখি সেখানেই গিয়ে ইট ভাঙ্গতে হবে কিনা খোঁজ করি। সারা দিনে যা ইট ভাঙ্গি তাতে দুই তিনশো টাকার পাই। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসার অভাবে এক হাত ও এক পা অচল হয়ে গেছে। এক হাত ও এক পায়ে শক্তি নেই তাই বেশি ইট ভাঙ্গতে পারি না। যখন কোন কাজ পাইনা তখন বাধ্য হয়ে ভিক্ষা করি। সব জিনিসের দাম বেশি, যা রোজগার করি তা দিয়ে ভাত কাপড় যোগাড় করতে কষ্ট হয়। অন্যের জায়গায় ভাঙ্গাচোরা একটা ঘর ছিল। এইটার খুঁটির বাঁশগুলো নষ্ট হয়ে ভেঙ্গে গেছে। ঘর ঠিক করার সামর্থ্য নেই আমার। সরকার নাকি গরিবের জন্য ঘর করে দেয়। সরকার যদি আমাকে একটা ঘর দিত তাহলে সারাদিন কাজ করে শান্তিতে গিয়ে থাকতে পারতাম।এ ব্যাপারে শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী বলেন, কিছুদিন আগে ঘর দেওয়ার জন্য তালিকা চেয়েছিলো, সেই তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তিতে আবার তালিকা চাইলে রহিমা বেগমের নাম তালিকায় দিয়ে দিব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আহ্সান বলেন,শাহজাহানপুর ইউনিয়নে ঘরের বরাদ্দ আসলে আমরা যাচাই পূর্বক তার জন্য বরাদ্দ দিব।এছাড়া সরকারি আরও কোন সাহায্য করা যায় কিনা দেখবো।
শেয়ার করুন