ড্রেন সংস্কারে গিয়ে ব্যক্তিমালিকানা ভূমির সীমানা প্রচীর ভাঙার খেসারত দিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর। সিটি করপোরেশনের মালিকানা দাবি করা ওই জায়গার সীমানা প্রাচীর ভাঙার পর দেখতে পান এটি ব্যক্তিমালিকানা ভূমির উপর রয়েছে। খেসারতে হিসেবে নতুন করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে দিতে হচ্ছে তাকে। আর এ কাজ করতে গিয়ে ব্যয় করছেন সিটি করপোরেশনের অর্থ।
ঘটনাটি নগরীর বোরহানবাগ-গোলাপবাগ সড়কের একটি বাসার। ড্রেন সংস্কারে গিয়ে মালিকানাধীন সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলেন প্রকৌশলী আলী আকবর। পরে তিনি জানতে পারেন ওই সীমানা প্রাচীর সিসিকের মালিকানা ভূমিতে নয়। ফলে যা হওয়ার তাই হলো, অপরিকল্পিত উন্নয়নের খেসারত দিলেন তিনি। নিজের ভুলের খেসারত দিতে গিয়ে অপচয় করছেন সিসিকের টাকা।
স্থানীয়রা বলেন, অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও ভাঙা গড়ার নামে সিসিকের টাকার অপচয় করছেন কর্মকর্তারা। না জেনে, না বুঝে অন্যের জায়গা জবর দখল করার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে জানতে সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবরকে ৬ বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সম্প্রতি নগরীর সৈদানীবাগ এলাকায় ব্যক্তি মালিকানা ইন্দুআলী দিঘীর দখল নিতে গিয়ে সাইনবোড উপড়ে ফেলে দেয় সিসিকের শ্রমিকরা। পরে সিসিক মেয়র বিষয়টি ভুলক্রমে হয়েছে জানিয়ে মালিকপক্ষকে শান্তনা দিয়ে সুরাহা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অপরিকল্পিত উন্নয়নের নামে সিসিকের অর্থ নষ্ট করা হচ্ছে। তাছাড়া বিভিন্ন ড্রেনেজ সংস্কারের কাজে গিয়ে ব্যক্তি মালিকানা ভূমির উপর থাকা সীমানা প্রাচীর ভেঙে সিসিকের টাকার অপচয় করা হচ্ছে। তাছাড়া দীর্ঘদিন ফেলে রাখা সড়ক সংস্কারে সিসিকের ঠিকাদার-প্রকৌশলীদের রশি টানাটানিতে উন্নয়ন কাজ দীর্ঘায়িত করার পাশাপাশি বড় অংকের টাকা অপচয় হচ্ছে। কিন্তু কাজের জবাবদিহীতা ও যথাযথ মনিটরিং না থাকায় অবলীলায় অর্থের অপচয় হচ্ছে সিসিকের।
শেয়ার করুন