ফারুক আহমদ
স্টাফ রিপোর্টার
অঞ্জলী রাণী শিকদার। তিনি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। যার বিরুদ্ধে উঠেছে অনিয়ম ও দূর্ণীতির বিস্তর অভিযোগ। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সদস্য ও অভিভাবকেরা অনিয়ম-দূর্ণীতির অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে গত ২৮ আগস্ট রবিবার মো. আলাউদ্দিন ও শফিউল ইসলাম আবু লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক অঞ্জলী রাণী শিকদার বিশ্বনাথের গন্ধারকাপন গ্রামস্থ মিরেরচর ২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
লিখিত অভিযোগে প্রকাশ : গত ১৪ মে শফিউল ইসলাম আবুকে সভাপতি দেখিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঞ্জলী রাণী শিকদার পিটিএ কমিটির সভা করেন। কিন্তু শফিউল ইসলাম আবু সভা সম্পর্কে কিছুই জানেন না কিংবা সাক্ষরও করেননি। ওই ভুয়া সভাকে ভিত্তি করে রেজুলেশন করে ¯øীপ ফান্ডের ৫০ হাজার টাকা ও রুটিন মেনটেনেন্স বাবদ ৪০ হাজার টাকার কাজ সমাপ্ত দেখিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে ভুয়া বিল ভাউসার দাখিল করে বিল উত্তোলন করেন। শফিউল ইসলাম আবু বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে বিল না দেয়ার জন্য অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক অভিভাবক সদস্য মো. আলাউদ্দিনকে ৬ এপ্রিল কমিটির সদস্য দেখিয়ে তাঁর সাক্ষরও জাল করে ওই প্রধান শিক্ষক ¯øীপ ফান্ডের ৫০ হাজার টাকা ও প্রাক প্রাথমিকের ১০ হাজার টাকা কাজের সমাপ্তি দেখিয়ে বিল ভাইসার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে দাখিল করেন। কিন্তু ওই বিলটিও ভুয়া বলে দাবি করেন মো. আলাউদ্দিন। পরবর্তীতে তিনি মিরেরচর (২) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঞ্জলী রাণী শিকদারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এনে গত ২৯ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে প্রকাশ : বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী শফিকুল ইসলাম ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ মিলে ভুয়া সাক্ষরগুলো প্রদান করে অনিয়ম করে আসছেন।
এ ব্যাপারে মিরেরচর (২) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঞ্জলী রাণী শিকদারের মুঠোফোনে বারবার যোগায়োগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিশ্বনাথ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শেয়ার করুন