ডেস্ক নিউজ :
প্রবাসে প্রতারকচক্রের সদস্যের হাতে জিম্মি আমার ভাই। ৩১ জুলাই ২৩ইং সোমবার সিলেট বিভাগীয় প্রেসক্লাব এক সংবাদ সম্মেলনে ফারহান আহমদ অভিযোগ করে এ কথা বলেন। উনার ভাই মো: জুনাইদ আহমদ, পিতা: আবরুছ আলী, সাং : রুগনপুর, পো: দয়ামীর বাজার, থানা: ওসমানী নগর, জেলা: সিলেট।
গত ২০২২ ইংরেজি আগষ্ট মাসে আমার বড় ভাই ফ্রান্সে যাওয়ার পর ২য় পক্ষের আল আমিন আমার একান্ত বন্ধু ও পাশের গ্রামের লোক থাকার সুবাদে তার বাসায় ভাড়াটি হিসাবে থেকেছিলেন। পরবর্তীতে আমার ভাইকে ফ্রন্সে লিগ্যাল হওয়ার কার্যক্রমের স্বার্থ স্বরূপ মো: আল আমিন, পিতা মো: ফরমুজ আলী, সাং: ঘোষগাও, পো: দয়ামীর বাজার, থানা: ওসমানী নগর, জেলা সিলেট।
উনার সাথে আমার বড় ভাই মো: জুনাইদ আহমদ মৌখিক আলোচনা করেন যে ফ্রান্সের কাগজপত্র ও আইডি করে দিবেন যদি আমার ভাই উনাকে বাংলাদেশী ১০ লক্ষ টাকা দেন। আমার ভাই একই এলাকার মনে করে ১০ (দশ) লক্ষ টাকা দিয়ে দেন। কিন্তু দীর্ঘ দিন হলে আমার ভাইকে কোন কাগজ পত্র বা আইডি কার্ড দেননি।
বিস্তারিত বিষয়গুলো আমার ভাই ফোনে আমাদেরকে অবগত করেন। পরবর্তীতে আমার ভাই মো: জুনাইদ আহমদ টাকা খুজতে গেলে ২য় পক্ষ মো: আল আমিন আমার ভাইয়ের পাওনা টাকা না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা সৃষ্টি করেন। এক পর্যায়ে বিগত ২৮ জুন ২০২৩ ইং তারিখে উনি আমার ভাইয়ের ঘরে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসেন।
এবং বলেন যে পাওনা টাকা দাবি করলে তিনি আমার ভাইকে হত্যা হুমকি এবং পুলিশে ধরিয়ে দিবেন। এমনকি তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ফেইসবুক লাইভে এসে আমার ভাইকে নিয়ে মিথ্যা, সাজানো বানোয়াট কথাবার্তা দিয়ে বিভিন্ন প্রকারের ষড়যন্ত্র মূলক পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফ্রান্সে তাহার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ সহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে আমার ভাই আমাকে সম্পূর্ণ ঘটনা ফোনে বলেন।
এসব শুনার পর থেকে আমি ও আমাদের পরিবার আমার ভাইয়ের জন্য আমরা খুবই চিন্তিত হয়ে পড়ি। তাই আজ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের নিকট আমার আকুল আবেদন বিদেশের মাটিতে আমার ভাইয়ের যাতে কোন ক্ষতি না হয় সেজন্য আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সংবাদ সম্মেলনে ফারহান আহমদ বলেন, আমি নিরুপায় হয়ে সংবাদ সম্মেলন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হয়েছি। কারণ সাংবাদিকরা জাতির দর্পণ তারা দেশ বিদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনা তুলে ধরেন।