বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের (২৩) সঙ্গে আমাতুল্লাহ বুশরার প্রেমের সম্পর্ক থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ডিবি মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রাজীব আল মাসুদ।
গতকাল শনিবার তিনি বলেন, এখনো ফারদিন হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ আমরা সংগ্রহ করতে পারিনি। নিখোঁজের তিন দিন পর লাশ উদ্ধার হওয়ায় তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ফারদিনের বিভিন্ন স্থানের অবস্থানের সঠিক তথ্য পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। আমাদের সব কটি টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি দ্রুততম সময়ে রহস্য উদঘাটন করতে।
ডিএমপির রামপুরা থানায় ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানার করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরা রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনেও হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে পারেননি বলে জানান ডিসি রাজীব আল মাসুদ।
তিনি বলেন, বুশরার সঙ্গে ফারদিনের দুই বছরের চ্যাটিং হিস্ট্রি আমরা বের করেছি। সেখানে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। তাদের বেশির ভাগ আলোচনা পড়ালেখা আর ডিবেটিং বিষয়ক। এমনকি তাদের মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
গতকাল শনিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সস্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, বুয়েটশিক্ষার্থী ফারদিনের মোবাইলের ডেটা অ্যানালাইসিস ও বিভিন্ন জায়গায় তিনি যার সঙ্গে কথা বলেছেন, সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হচ্ছে, ঢাকা শহরের কোনো এক জায়াগায় খুন হতে পারেন তিনি। মোবাইলের লোকেশনে আমরা নারায়ণগঞ্জও পেয়েছি। সবকিছু মিলিয়ে তদন্তের স্বার্থে কংক্রিট কিছু বলতে পারছি না।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে ফারদিন যেখানে যেখানে গিয়েছিলেন, আমরা বিভিন্ন টেকনিক্যাল মাধ্যম ব্যবহার করে সেসব স্থান খুঁজে বের করেছি।
বুয়েটশিক্ষার্থী ফারদিন ৪ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন রাজধানীর রামপুরা থানায় নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা কাজী নূরউদ্দিন। ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। ৯ নভেম্বর রাতে ফারদিনের বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে রামপুরা থানায় মামলা করেন ফারদিনের বাবা।
শেয়ার করুন