বন্যার সবশেষ অবস্থা ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে যা জানা গেলো

জাতীয়

ভারী বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দেশের আট জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। জেলাগুলো হচ্ছে ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বন্যার সবশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্রিফিংয়ে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আযম।

তিনি বলেন, বন্যায় দেশের ৮ জেলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২৯ লাখ ৪ হাজার ৯৬৪ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ফেনী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে পানিতে ডুবে দুজন মারা গেছেন।

বন্যাকবলিত জেলাসমূহে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে বলা হয়েছে গত ২০ আগস্ট থেকে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দেশের ৮টি জেলা। এসব জেলার ৫০টি উপজেলা বন্যা প্লাবিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন ৩৫৭টি।

৮ জেলায় মোট ৪, ৪০, ৮৪০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ২৯ লাখ ৪ হাজার ৯৬৪ জন।

পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় প্রদানের জন্য মোট ১ হাজার ৫৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট ৭৫ হাজার ৬৬৮ জন এবং ৭ হাজার ৪৫৯টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।

৮ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য মোট ৪৪৪টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে।

এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে বরাদ্দকৃত ত্রাণ সামগ্রীর বিবরণে বলা হয়েছে, মোট বরাদ্দ ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। চাল বরাদ্দ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৬’শ মেট্রিক টন।

আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসতে পারে। এ সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই নদী সমূহের সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যাপরিস্থিতি প্রাথমিকভাবে স্থিতিশীল থেকে পরবর্তীতে উন্নতি হতে পারে।

এছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। এ সময় এ অঞ্চলের ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার মুহরী, ফেনী, গোমতী, হালদা ইত্যাদি নদীসমূহের সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি প্রাথমিকভাবে স্থিতিশীল থেকে পরবর্তীতে উন্নতি হতে পারে।

এদিকে ফেনী জেলায় বন্যাকবলিত এলাকায় উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ১৬০ জন সদস্য ও ৪০টি উদ্ধারকারী যান ফেনী জেলায় প্রেরণ করা হয়েছে। ১টি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে।

নৌবাহিনীর ৭১ জন সদস্য ও ৮টি উদ্ধারকারী যান কাজ করছে বন্যাকবলিত অঞ্চলে। এছাড়া বিজিবিসহ আরও নৌযান আনানো হচ্ছে বলেও জানা গেছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *