বন্যার বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘বন্যা হতে পারে, পূর্বাভাস সেরকম পাওয়া যাচ্ছে। কাজেই আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে, সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’ পাশাপাশি বাজেট বাস্তবায়ন বাড়াতে অর্থবছরের শুরু থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতীয় অর্থনেতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এসব নির্দেশ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে এ ব্রিফিংয়ে এসব বিষয় তুলে ধরেন পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রকল্প পরিচালক প্রশিক্ষণে জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে এক প্রকল্পের জন্য যেন একজন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। এছাড়া ঢাকা অঞ্চলে আশে পাশে যেখানে যেখানে জমি আছে সেগুলোতে চাষ ত্বরান্বিত করার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জমি অধিকাংশ চলে যাচ্ছে আবাসন প্রকল্পের জন্য। তবে যেসব জমি এখনও আছে সেগুলো জমি যাতে ফাঁকা জমি পড়ে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেসব এলাকায় তিন ফসলী বা দো ফসলী জমিতে ফসল ভাল হয় সেই সব এলাকায় প্রকল্প নেওয়া যাবে না।’ পাশাপাশি জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে চলতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ৪১ এর বাস্তবায়ন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সদ্যসমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষ সময়ে যেসব প্রকল্পের অনুকূলে অর্থবরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সেই টাকা কিভাবে খরচ হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এছাড়া সারাদেশের যেসব থানা জরাজীর্ণ আছে সেগুলো সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন তারাই যদি নিরাপদ না থাকেন তাহলে কিভাবে হবে?’
প্রধানমন্ত্রী চলতি অর্থবছরে প্রথম তিন মাসে প্রকল্পের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন। বলেছেন, ‘যেহেতু বৃষ্টির কারণে মাঠে প্রকল্পের কাজ করা যায় না সেজন্য কাগুজে প্রস্তুতি শেষ করতে হবে।’
ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘কাজের মান নিশ্চিত করতে সবারই দায়িত্ব আছে। আগামী ৪ জুন সব মন্ত্রণালয়ের সচিবদের নিয়ে বৈঠক করা হবে। যাতে প্রকল্পের কাজ দ্রুত হয়। এ বিষয়গুলো লক্ষ্য রেখে কাজ করতে হবে। ২০৪১ সালের দিকে উন্নয়নশীল দেশে চলে আসবো আমরা। এজন্য আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।’
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. এমদাদউল্লাহ মিয়ান, কৃষি, পানি পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) আব্দুল বাকী এবং তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।
শেয়ার করুন