২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে এই সরকারের শেষ বাজেট নিয়ে আসলেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেন তিনি।
আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন। বাজেটে দুই লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বা উন্নয়ন বাজেট রাখা হয়েছে। উন্নয়ন বাজেটে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও গ্রামীণ অবকাঠামোসহ সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পঞ্চম বাজেট ঘোষণা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে এডিপিতে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ খাতে বরাদ্দ ৭৫ হাজার ৯৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অন্যান্য খাতের প্রস্তাবিত বরাদ্দের মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ৪৪ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা।
এছাড়া শিক্ষায় ২৯ হাজার ৮৮৯ কোটি ১২ লাখ টাকা। গৃহায়ণ ও কমিউনিটি সুবিধাবলীতে ২৭ হাজার ৪৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নে ১৮ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। স্বাস্থ্যে ১৬ হাজার ২০৪ কোটি টাকা এবং কৃষিতে ১০ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।
অন্যান্য খাতের মধ্যে সাধারণ সরকারি সেবায় দুই হাজার ১১৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা, প্রতিরক্ষায় এক হাজার ১০ কোটি টাকা, জনশৃঙ্খলা ও সুরক্ষায় তিন হাজার ৪৩৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবায় পাঁচ হাজার ৩৬২ কোটি ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
পাশাপাশি পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ খাতে আট হাজার ৯৯৫ কোটি ২১ লাখ টাকা, ধর্ম-সংস্কৃতি ও বিনোদনে দুই হাজার ২৯০ কোটি ২০ লাখ টাকা, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে পাঁচ হাজার ৩২১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতে প্রস্তাব করা হয়েছে তিন হাজার ৩১৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকার এডিপি।
আগামী অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে প্রকল্প থাকছে এক হাজার ২১৮টি। এর মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প এক হাজার ১১৮টি, কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ৭৮টি এবং সম্ভাব্যতা সমীক্ষা যাচাই প্রকল্প রয়েছে ২২টি।
জাতীয় বাজেটে বরাদ্দের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বড় উন্নয়ন প্রকল্পে। এমন ১৪টি মেগা প্রকল্প ও কর্মসূচির জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৬৫ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা।
শেয়ার করুন