হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক তিনবারের মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিলেট বিভাগীয় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। জি কে গউছ বর্তমানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
শনিবার (১৫ জুন) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৯৮৪ সালে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহনের মধ্য দিয়ে আলহাজ্ব জি কে গউছের রাজনীতি শুরু করেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তখন জি কে গউছের মধ্যে ফুটে উঠে নেতৃত্বের প্রতিভা। ১৯৮৭ সালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। টানা ৫ বছর তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্র রাজনীতি শেষে ১৯৯৪ সালে হবিগঞ্জ পৌর যুবদলের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৯৫ সালে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯৬ সালে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। বলিষ্ট নেতৃত্বের মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলা যুবদলকে সু-সংগঠিত করেন। এরই ফলশ্র“তিতে জি কে গউছ জেলা যুবদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে বিএনপি’র তৎকালিন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের উপস্থিতিতে ঢাকাস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হবিগঞ্জ জেলার অধীনস্থ বিএনপির সকল উপজেলা ও পৌর কমিটির গোপন ভোটে জি কে গউছ হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১১ সালে ২য় বারের মত হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। পরবর্তীতে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে আলহাজ্ব জি কে গউছকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বয়ক নির্বাচিত হন।
দলের পক্ষ থেকে যখন যা দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে জি কে গউছ বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত সফলতার সাথে সকল দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি আলহাজ্ব জি কে গউছ একজন সফল জনপ্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৪ সালে প্রথম হবিগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। টানা ৩ বার হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর, লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে অংশ নিতে গিয়ে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আলহাজ্ব জি কে গউছ হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
আলহাজ্ব জি কে গউছ বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ২০টি মামলায় আসামী হয়েছেন। এসব মামলায় ১৫১৭ দিন কারাভোগ করেন। কিন্তু তারপরও রাজপথে জি কে গউছকে থামানো যায়নি। সকল ষড়যন্ত্রের জাল চিহ্ন করেই রাজপথ সরব রেখেছেন জি কে গউছ।
নতুন দায়িত্ব নিয়ে রাজপথের পরীক্ষিত নেতা আলহাজ্ব জিকে গউছ বলেন, দলের হাইকমান্ড আমার প্রতি আস্থা রেখে দায়িত্ব দিয়েছে । আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। সিলেট বিএনপিকে সংগঠিত এবং দলের চেয়ারপার্সন কারানির্যাতিত বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতৃবৃন্দের মুক্তি ও অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে দেশকে মুক্ত করার আন্দোলন বেগবান করে প্রতিদানের সর্বাত্বক চেষ্টা করব। অচিরেই গণতান্ত্রের বিজয় সুনিশ্চিত মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শেয়ার করুন