কাজী মোহাম্মদ আলী, অভয়নগরঃ
হযরত খানজাহান আলী (রঃ) এর ১২ জন খলিফার একজন বিশিষ্ট ওলিয়ে কামেল কাজী শাহ্ মিয়া (রঃ) নামে প্রতিষ্ঠিত কাজী শাহ মিয়া (রঃ) মাদ্রাসা কমপ্লেক্সটি আর্থিক সংকটে পড়ে কার্যক্রম চলছে মন্থরগতিতে।
ওলি’র যোগ্য উত্তরসূরী প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী গোলাম আহমেদ’র আন্তরিক প্রচেষ্টায় নড়াইল সদর উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়নের পলইডাঙ্গা গ্রামে ওয়াককফ করা ৪০ শতাংশ জমির উপর ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত বহুমুখী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ৫ তলা ফাউন্ডেশনের উপর ২ তলা ভবন নির্মিত হয়। এখানে মসজিদ, ইয়াতিম খানা, হিফজুল কোরআন, এবতেদায়ী মাদ্রাসা, বয়স্ক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে। বর্তমানে এখানে হেফজ বিভাগে ৩৫ জন ও নুরানি বিভাগে ৪৫ জন এতিম শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে এবং ৩ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। উদয়পুর মাদ্রাসা, বাগেরহাট থেকে ডিগ্রী নেওয়া কাজী গোলাম আহমেদ দীর্ঘ ৪৩ বৎসর পরে গ্রামে এসে নিজের ও বংশের অন্যান্য সদস্যদের ওয়াফক্ সম্পত্তির উপর নিজে ৭০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ২৬২৪ বর্গফুটের ২ তলা ও ৩ তলার কিছু অংশ নির্মাণ করেন। কিন্তু আর্থিক সংকটে এখন উন্নয়ন কার্যক্রম থেমে আছে। প্রতি মাসে শিক্ষার্থীদের পেছনে নূন্যতম ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, শিক্ষকদের সন্মানী বাবদ ৩৬ হাজার টাকা খরচ হয় যা যোগান দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রচার, প্রসারের অভাবে সরকারি বা বেসরকারিভাবে সহায়তা না পাওয়ায় সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করা দিন দিন অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
কাজী গোলাম আহমেদ(৮৫) বলেন, ফুরফুরার বড় পীর সাহেব নিজে স্থানটি পরিদর্শন করে গেছেন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে আমার জমি ও সারা জীবনের সঞ্চিত অর্থ মাদ্রাসা ও এতিমখানা করার জন্য ব্যয় করেছি। সরকারি বা বেসরকারি ভাবে আর্থিক সহায়তা না পেলে ছাত্রদের ভরনপোষণ ও শিক্ষকদের বেতন ভাতা চালিয়ে যাওয়া আমার জন্য অনেক কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এসময় তিনি সরকারী, বেসরকারী, বিত্তবানদের কাছে ভবন নির্মাণসহ (ইট, রড, সিমেন্ট ইত্যাদি ) আর্থিক সহায়তা ( ইসলামী ব্যাংক নড়াইল শাখা সাধারণ ফান্ড হিসাব নং- ২০৫০২৬৩০২০০৮৭৭৩০৫, জাকাত ফান্ড হিসাব নং- ২০৫০২৬৩০২০০৮৭৭৪০৬) কামনা করেন।