জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন: গত সরকারের আমলে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে শত শত প্রজেক্ট হয়েছে। অনেক ব্যয়বহুল প্রজেক্ট হয়েছে কিন্তু সেগুলোর রিটার্নের পরিমাণ খুবই নগণ্য। যা ভ্যালু ফর মানি হয়নি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টরেও একই অবস্থা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসকল কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে খরচ এবং দাম বেড়েছে।
মঙ্গলবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান-এর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্ব ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন-এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সভায় তাদের স্বাগত জানিয়ে বলেন: বর্তমান সরকার ছাত্র-জনতার রক্ত ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত সরকার, তাই এ সরকারের ভিত্তি খুব দৃঢ়। সরকার মানুষকে স্বাচ্ছন্দ দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে কিন্তু এটা বেশ শক্ত কাজ বলেও এসময় তিনি জানান তিনি।
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিমাণ বৃদ্ধি এবং এ ক্ষেত্রে দক্ষতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম কমে আসবে বলে ফাওজুল কবির খান আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় তিনি জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে বিশ্বব্যাংকের বাজেট সহায়তা প্রাপ্তির ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্ব ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন বলেন, তারা বর্তমান সরকারের সাথে আন্তরিকভাবে কাজ করতে আগ্রহী। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও অর্থ উপদেষ্টার সাথে বাজেট সহায়তার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে বাজেট সহায়তার প্রাপ্তির ব্যাপারে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মতবিনিময় সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোঃ নূরুল আলম, অর্থ সচিব ড. মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন