স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের বিশ্বনাথে গত ৪ আগস্ট আল-হেরা শপিং সিটিতে হামলা ভাংচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শপিং সিটির চেয়ারম্যান ছাদেকুর রহমান বাদী হয়ে ৮৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত নামা আরো ৬০ জনকে আসামী করে ১৮ আগস্ট বিশ্বনাথ থানায় মামলা করা হয়। যার নং ১০।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন জানাইয়া গ্রামের আবুল কালামের পুত্র শামীম আহমদ, মোল্লারগাঁও গ্রামের মৃত: ময়না মিয়া পুত্র ফজর আলী, শাহজিরগাঁও গ্রামের মৃত: আরজান আলীর পুত্র রফিক আলী, চান্দশীর কাপন গ্রামের সুনু মিয়ার পুত্র ছুরত আলী বাবুল, জানাইয়া গ্রামের ইউনুছ আলীল পুত্র রিপন আহমদ, পূর্ব চান্দশীর কাপন গ্রামের রিয়াজ মিয়ার পুত্র সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সেনারগাঁও গ্রামের মৃত: ইককন্দর আলীর পুত্র আশিক আলী, চৌধুরীগাঁও গ্রামের ছোরাব আলীর পুত্র রাজু আহমদ খান, শাহজিরগাঁও (দূর্গাপুর-কারিকোনা) গ্রামের আব্দুল মতিনের পুত্র ফারাবি ইমন ইসলাম, শাহজিরগাঁও গ্রামের গৌছ মিয়ার পুত্র আব্দুল হক, শরিষপুর গ্রামের মৃত: জয়দু মিয়ার পুত্র রফিক আলী, শাহজিরগাঁও গ্রামের সোনাফর আলীর পুত্র ফয়জুল ইসলাম জয়, জানাইয়া গ্রামের মৃত: আব্দুল কাদিরের পুত্র আবুল হোসেন, একই গ্রামের মৃত: মবশ্বির আলীর পুত্র আজব আলী, জাহারগাঁও গ্রামের ওয়ারিছ খানের পুত্র রুহেল খান, জানাইয়া গ্রামের আব্দুল খালিক মিয়ার পুত্র সুজেল আহমদ, বাইশঘর গ্রামের তজম্মুল আলীর পুত্র মো. জহির, জানাইয়া গ্রামের মারফত আলীর পুত্র আহমদ আলী, একই গ্রামের জুনাই, আব্দুল মালিকের পুত্র রাজন মিয়া, কাশিমপুর গ্রামের মৃত: আবুল হোসেনের পুত্র আব্দুল হাকিম, জানাইয়া গ্রামের মারফত আলীর পুত্র সমর আলী, একই গ্রামের সমুজ আলীর পুত্র নাসির মিয়া, তেলিকোনা গ্রামের হাজী নুরুল ইসলামের পুত্র মুহিবুর রহমান সুইট, বিলপার গ্রামের আব্দুর রহমানের পুত্র গিয়াস উদ্দিন, জানাইয়া গ্রামের ছাত্তার মিয়ার পুত্র নাসির আহমদ রাজ, মুফতিরগাঁও গ্রামের ময়না মিয়ার পুত্র জাকির হোসেন মামুন, বিশ্বনাথ পুরানবাজারের রতন মিয়ার পুত্র ফয়ছল মিয়া, জানাইয়া গ্রামের সফিক মিয়ার পুত্র কামরান আহমদ, একই গ্রামের মানিক মিয়ার পুত্র জুবেদ আহমদ আসলাম, ময়না মিয়ার পুত্র নয়ন মিয়া, বিশ্বনাথ পুরানবাজারের শামীম আহমদের পুত্র আল-আমিন, সরুয়ালা গ্রামের আজিজুলের পুত্র নাহিদ আহমদ, গোয়াহরি গ্রামের নেছার আলীর পুত্র এনামুল হক সম্রাট, হাবড়া গ্রামের আজফর আলীর পুত্র জিল্লুর রহমান, কামালপুর গ্রামের আব্দুল কাদিরের পুত্র মো. হিমেল, শাহজিরগাঁও গ্রামের মামুনের পুত্র শেখ সাদ্দাম, মোহাম্মদপুর গ্রামের সিরাজ আলীর পুত্র রাজন আলী, কাশিমপুর গ্রামের গৌছ মিয়ার পুত্র এনামুল ইসলাম, মোল্লারগাঁও গ্রামের মৃত: আব্দুল খালিকের পুত্র উজ্জল আহমদ, ইলামেরগাঁও গ্রামের সিরাজ আলীর পুত্র ইব্রাহিম আলী, সেনারগাঁও গ্রামের সাজই মিয়ার পুত্র সাদিক আহমদ, জানাইয়া গ্রামের চান্দ আলীর পুত্র জামাল আহমদ, চৌধুরীগাঁও গ্রামের ছোরাব আলী, শাহজিরগাঁও (দূর্গাপুর-কারিকোনা) গ্রামের মছদ্দর আলীর পুত্র আব্দুল মতিন, চৌধুরীগাঁও গ্রামের মৃত: মরম আলীর পুত্র আবুল কাহার, দোহাল গ্রামের মজিদ মিয়ার পুত্র হোসাইন আহমদ, পাড়–য়া গ্রামের আব্দুল হামিদের পুত্র সাইফুল ইসলাম, পূর্ব চান্দশীর কাপন গ্রামের তবারক আলীর পুত্র সিরাজুল ইসলাম রুকন, জানাইয়া গ্রামের মৃত; সমর আলীর পুত্র কয়েস আহমদ, একই গ্রামের আব্দুল হকের পুত্র ইসলাম আহমদ, আব্দুল ছাত্তারের পুত্র দিলোয়ার ফয়ছল, আলাল মিয়ার পুত্র সুহেদ আহমদ, আকরম আলীর পুত্র জয়নাল, শ্রীধরপুর গ্রামের রোকন আলীর পুত্র আব্দুল বাতিন, একই গ্রামের শাহজাহান সিরাজের পুত্র রেজা মিয়া, জানাইয়া গ্রামের মবশ্বির আলীর পুত্র সুন্দর আলী, গন্ধারকাপন গ্রামের নেপুর আলীর পুত্র বাবুল মিয়া, জানাইয়া গ্রামের আব্দুল ছাত্তারের পুত্র সেবুল মিয়া, একই গ্রামের বাচার পুত্র খোকন মিয়া, মাসুক মিয়ার পুত্র সালমান, বিশ্বনাথ নতুন বাজারের হেলাল আহমদ, জানাইয়া গ্রামের সমুজ আলীর পুত্র আবুল মিয়া, একই গ্রামের মৃত: আমির আলীর পুত্র মৌরশ আলী, মুফতিরগাঁও গ্রামের আইয়ুব আলীর পুত্র রাজন আহমদ অপু, কামালপুর গ্রামের তোরাব আলীর পুত্র রাসেল আলী, ধীতপুর গ্রামের আকরম আলীর পুত্র ফারুক মিয়া, কালিগঞ্জ বাজারের রুকন আলীর পুত্র মাসুম আহমদ, সেনারগাঁও গ্রামের জয়নাল আহমদ, রাজনগর গ্রামের জমির মিয়ার পুত্র আবিদুর রহমান, গন্ধারকাপন গ্রামের কামরান আহমদ, বিশ্বনাথ টিএনটি রোডের শেখ জামালের পুত্র শেখ জামিল, চৌধুরীগাঁও গ্রামের তজম্মুল আলীর পুত্র জহির আহমদ, বিশ্বনাথ নতুন বাজারের তোবারক আলীর পুত্র আব্দুর রহমান, একই এলাকার হাবিবুর রহমান হাবিব, চান্দভরাং গ্রামের দবির মিয়ার পুত্র লোকমান মিয়া, সাবসেন গ্রামের মাহমদ আলীর পুত্র মাসুক মিয়া, শরিষপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার পুত্র মাসুম, বড় খুরমা গ্রামের আলমাস আলীর পুত্র রেহান মিয়া, একই গ্রামের জহুর আলীর পুত্র রুকন নিয়াজি, দশপাইকা-ধনপুর গ্রামের ওয়াহাব আলী, শাহজিরগাঁও গ্রামের সুন্দর আলীর পুত্র ফয়ছল, বিশ্বনাথ বাজারের মৃত: তুতু মিয়ার পুত্র রুপা মিয়া।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন ঘটনার দিন সারা দেশেল ন্যায় ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য অভিযুক্তরা বে-আইনীভাবে মিলিত হয়ে লাঠি-সোটা রামদা-রড জিআই পাইব হকিস্টিক ইত্যাদি অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে থানার সম্মুখে অবস্থিত মুসলিম সুইট মিট হতে বাসিয়া সেতুর উপর অবস্থান করতে থাকে। এক পর্যায়ে ৪ আগস্ট ১১টা ৪৫ মিনিটের সময় মিছিল সহকারে বাসিয়া সেতু থেকে আল-হেরা শপিং সিটির সামনে গিয়ে জনমনে ক্রাস সৃস্টি করে বিশ্ঙ্খৃলা ও অরাজক পরিবেশ সৃস্টি করার জন্য আল-হেরা শপিং সিটিতে হামলা করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে মার্কেটের সামনের থাই গ্লাস ভাংচুর করে।
এসময় মাকের্টরে ব্যবসায়ীরা বাঁধা প্রদান করলে অভিযুক্তরা জোরপূর্বক আল-হেরা শপিং সিটির নিচতলায় থাকা তান্দুরী রেষ্টুরেন্টে প্রবেশ করে চেয়ার-টেবিল গ্লাসসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে রেস্টুরেস্টের পরিচালক সফিউল ইসলাম মামুনকে মারধর করে ক্যাশে থাকা নগদ ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপর মার্কেট পরিচালনা কমিটির অফিস ভাংচুর করে অফিসের ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ জুলাই-২৪ মাসের বিভিন্ন দোকানের ভাড়া, ইলেকট্রিক বিল, জেনারেটর বিল বাবদ উত্তোলিত নগদ প্রায় ২৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকা এবং অফিসে থাকা মূল্যবান দলিলাদি লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া মার্কেটের বিভিন্ন দোকান ভাংচুর ও নগদ টাকা লুট করার অভিযোগ রয়েছে।
শেয়ার করুন