বিশ্বনাথে ট্রাক বোঝাই ২২০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ

সিলেট

স্টাফ রিপোর্টার:

সিলেটের বিশ্বনাথে রোববার (২৩ জুন) রাতে ‘বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়কে’ বাইপাস রোড় সংলগ্ন পেট্টোল পাম্পের সামন থেকে একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্টো-ড ১২-৫২০৭) বোঝাই ২২০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করেছে থানা পুলিশ। সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে চিনি বোঝাই করে নিয়ে আসা ট্রাক ও ট্রাকের মধ্যে থাকা ২২০ বস্তা চিনি বিশ্বনাথ থানায় পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

বিশ্বনাথ থানার এএসআই আবু সালেহ’র নেতৃত্বে পুলিশের জব্দ করা চিনির বস্তার গায়ে বাজার ও মোড়কজাতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নাম রয়েছে ‘সুবহা ফুড প্রোডাক্টস’। আর ওই প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা রয়েছে সুনামগঞ্জের ছাতক পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের থানা রোড় এলাকায়। এছাড়া ব্যাচ নং ০০১, বিডিএস নং ১৩৮, উৎপাদনের তারিখ ০১.০২.২০২৪ইং ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ৩০.০১.২০২৬ইং।

প্রত্যক্ষ দর্শী সূত্রে জানা গেছে, এক সাথে তিনটি ট্রাক পণ্য বোঝাই হয়ে বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় পৌর শহরের কারিকোনা গ্রামের বাইপাস সড়কের পার্শ্ববতি পেট্টোল পাম্পের সামনে আটকায় থানা পুলিশ। এরপর পুলিশ তল্লাশি করে দুটি ট্রাকে চাল ফেলে সেগুলোকে ছেড়ে দেয়। আর ওই ট্রাকে চিনি হওয়ায় সেটি জব্দ করে থানা নিয়ে আসে। ওই ২২০ বস্তা চিনি জব্দের পর থেকে সর্বমহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে, চলছে দরকষাকষি। ছেড়ে দেওয়া দুটি ট্রাকে চাল ছিল না চিনি ছিল এনিয়েও রয়েছে বিরুপ মন্তব্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারতে থেকে অবৈধ পথে আসা চিনি সুনামগঞ্জের বিভিন্ন বর্ডার এলাকা থেকে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে। আর সুনামগঞ্জ থেকে আসা চিনি বোঝাই ট্রাকগুলো ওই অবৈধ কাজের জন্য নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত সড়ক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ‘লামাকাজী-রামপাশা-বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়ক’ ব্যবহার করে আসছেন। মাঝে দু’এক বার বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ভারতীয় চিনি জব্দ করলেও বেশিভাগ সময়ই ওই সড়ক দিয়ে পাচারকারীরা ভারত থেকে আসা চিনির সাথে সাথে শাড়ী কাপড়, কসমেটিক্স, ফুচকা পরিবহন করছেন। এছাড়া ওই সড়ক ব্যবহারে মাদক ব্যবসায়ীরা রয়েছেন অনেক সক্রিয়।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে, চিনি’সহ ভারতীয় পন্যবাহী ট্রাক আটকিয়ে একটি চক্র চাঁদাবাজিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আর ওই চক্রের সাথে জড়িত রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছোট-বড় অনেক নেতাকর্মী। ট্রাক আটকিয়ে এসব চাঁদাবাজিতে যারা জড়িত রয়েছেন তারা (চাঁদাবাজ) অনেক সময় স্থানীয় সাংবাদিক কিংবা থানা পুলিশের নাম করেও পণ্যের মালিকের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, চিনি বোঝাই ট্রাক জব্দের পর, চিনির মালিক দাবীদার পক্ষের লোকজন আমাদেরকে কিছু কাগজপত্র দিয়েছেন। একটি বার্তার মাধ্যমে আমরা সেই কাগজপত্রগুলো তদন্তের জন্য ছাতক থানায় প্রেরণ করেছি। সেই রির্পোট আসার পর পরই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা নিয়েই পরবর্তি করণীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *