ফারুক আহমদ
স্টাফ রিপোর্টার
‘পূর্ব শত্রুতা ও দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায়’ সিলেটের বিশ্বনাথে আব্দুন নূর (৫০) নামের এক দুবাই প্রবাসীর বসতঘরের নির্মাণ কাজ আটকে দিয়ে প্রবাসীকে নানাভাবে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূক্তভোগী প্রবাসী আব্দুন নূর উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বন্ধুয়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাশিম ওরফে হাসিমের ছোট পুত্র। ভূক্তভোগী প্রবাসী আব্দুন নূর ন্যায় বিচারের আশায় তাই এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
প্রবাসী আব্দুন নূরের আপন বড় ভাই আব্দুল আহাদ (৭০) ও তার চাচা আব্দুল মজিদ (৮০) মিলে আদালতে মামলা দিয়ে তাকে হয়রানী করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাই ন্যায় বিচার পেতে গ্রামের পঞ্চায়েতকে অবগত করার পাশপাশি সম্প্রতি সিলেটের প্রবাসী কল্যাণ শাখা ও সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি (প্রবাসী)।
সরেজমিন গিয়ে জানাগেছে, দীর্ঘদিন ধরে দুবাইয়ে বসবাসকারী আব্দুন নূর ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই বাংলাদেশে আসেন। এরপর বন্ধুয়া গ্রামস্থ নিজের বাড়ির পৈত্রিক সম্পত্তি নোয়াগাঁও মৌজার ১২৮০ নং খতিয়ানের ৪২৯০ দাগের তার অংশের ১০ শতাংশ জায়গার আড়াই শতাংশের মধ্যে বসতঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এরপর গত ৬ সেপ্টেম্বর কাজে বাঁধা দিয়ে প্রবাসীর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তার (প্রবাসী) আপর চাচা আব্দুল মজিদ ও বড় ভাই আব্দুল আহাদ। পরদিন ৭ সেপ্টেম্বর প্রবাসী আব্দুন নূর চাঁদা দাবিকারী চাচা ও ভাইদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সিলেটের প্রবাসী কল্যাণ শাখা ও জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু ওই সকল অভিযোগের এখনও কোন তদন্ত হয়নি।
তারপর গত ১৭ সেপ্টেম্বর চাচা আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রবাসী ভাতিজার বিরুদ্ধে ফৌজধারী আইনে মামলা করেন (বিবিধ মামলা নং ৮২/২০২৩)।
এর প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। আর এতে করে মাঝ পথে নির্মাণকাজ আটকে যায়। এরপর থানা পুলিশের এসআই জাকির হোসেন সরেজমিন ঘটনাস্থল পরির্দশন করে প্রবাসী নূরের নির্মাধানীন জায়গায় বাদী আব্দুল মজিদ পক্ষের কোন অংশীদারিত্ব নেই মর্মে গত ২৩ সেপ্টেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আগামী ৫ অক্টোবর আদালতে ওই মামলার শুনানী হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রবাসী আব্দুন নূর অভিযোগ করে বলেন, তার চাচা ও বড় ভাইকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে এবং আদালতকে ভুল বুঝিয়ে তার নির্মানাধীন জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করানো হয়েছে। এতে গত ১৫ দিন ধরে নির্মাণ কাজবন্ধ থাকায় তিনি (প্রবাসী) প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে এবং দেশে দীর্ঘদিন ধরে থাকার কারণে প্রবাসের কর্মক্ষেত্রেও তার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার হবিবুল ইসলাম, প্রবাসীর আপন বড় চাচা হাজী আব্দুল জব্বার, গ্রামের মুরব্বী উস্তার আলী ও তাদের মধ্যেকার বিরুধের সালিশ ব্যক্তিত্ব আখদ্দুছ আলী বলেন, ‘আব্দুল জব্বার ও আব্দুল আহাদ’ যৌথভাবে মিলে প্রবাসী আব্দুন নূরের গৃহ নির্মাণ কাজ আটকে দেওয়ার পাশাপাশি তাকে নানাভাবে হয়রাণী করছেন।
চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি মিথ্যা দাবী করে প্রবাসীর অভিযুক্ত চাচা আব্দুল মজিদ ও বড় ভাই আব্দুল আহাদের দাবি, ওই জায়গায় তাদেরও অংশিদারিত্ব রয়েছে।
বিশ্বনাথ থানার এসআই জাকির হোসেন বলেন, ঘর নির্মানাধীন জায়গায় বাদী আব্দুল মজিদের কোন অংশ নেই।
শেয়ার করুন