মেঘ-বৃষ্টি কমে যাবে, বাড়বে শীতের দাপট

জাতীয়

দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে না হতেই শেষ হয়েছে। এরপর শীতের কুয়াশার সঙ্গে আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা বেড়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামীকাল বুধবার মেঘ-বৃষ্টি কমে যাবে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রা কমে শীত বাড়তে পারে।

এদিকে দেশের প্রায় ১৬টি জেলায় মঙ্গলবার সারা দিন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ঝরেছে। কোথাও কোথাও বৃষ্টির পরিমাণ ছিল খানিকটা বেশি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মেঘ-বৃষ্টি কমে যাওয়ার পর বুধ ও বৃহস্পতিবার শীতের দাপট কিছুটা বাড়তে পারে।

দেশের কোথাও কোথাও শৈত্যপ্রবাহের তাপমাত্রা নেমে আসতে পারে; অর্থাৎ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামতে পারে। এরই মধ্যে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ পারভীন বলেন, কাল বুধবারের মধ্যে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় বৃষ্টি থাকবে না। আগামীকাল ও পরশু তাপমাত্রা কমতির দিকে থাকতে পারে। তারপর কয়েক দিন তাপমাত্রা বেড়ে আবার জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কমতে পারে।

এদিকে আজ সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীতে চার মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকে রাজধানীর দৃষ্টিসীমাজুড়ে কুয়াশা ও আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। দুপুর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়। কোথাও তাপমাত্রা কম থাকলে এবং কুয়াশা ও বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকলে সাধারণত বায়ুর মানের অবনতি হয়। কারণ, দূষিত অতি সূক্ষ্ম বস্তুকণা পিএম২.৫ জলীয় বাষ্প পেলে ভেসে থাকার অনুকূল আবহাওয়া পায়। যে কারণে আজ সকাল থেকে রাজধানীর কুয়াশা ও ধোঁয়া মিলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়।

বিশ্বের প্রধান শহর ও দেশগুলোর বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের হিসেবে, ঢাকার বায়ুর মান গত রবি ও সোমবারের তুলনায় আজ অবনতি হয়। বিশ্বের রাজধানী শহরগুলোর মধ্যে বায়ুদূষণের দিক থেকে ঢাকার অবস্থান আজ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রথম স্থানে ছিল। ঢাকার পরেই ছিল ইরাকের বাগদাদ ও মঙ্গোলিয়ার উলানবাটর।

মঙ্গলবার রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টি সবচেয়ে বেশি হয়েছে সিলেটে ৮ মিলিমিটার।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *