স্বীকৃতি বিশ্বাস স্টাফ রিপোর্টারঃ
আজ (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল এগারোটায় যশোর কলেজের আয়োজনে কলেজের হলরুমে ‘নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভূমিকা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাধন দাসের সঞ্চালনায়
অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ মুস্তাক হোসেন শিম্বা।প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।সম্মানিত অতিথির বক্তৃতা করেন- কলকাতার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর ইয়াসিন খান, রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক, কলকাতার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক মনোজ বিশাই ও যশোর সরকারি সিটি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর সবুজ শামীম আহসান।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দু’ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তারা নারী ও শিশু পাচার, পাচারের ধরন, নারী ও শিশু পাচার পরিস্থিতি, পাচারের কৌশল, পাচারের উদ্দেশ্য ও এর ফলে কী ঘটে, বাল্য বিবাহ, শেষ পরিণতি, পাচার প্রতিরোধে সুপারিশ, শিশু সুরক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনায় বক্তারা বলেন- পরিচিতদের মাধ্যমে বা সরাসরি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে, ফুঁসলিয়ে বা লোভ দেখিয়ে একসময় মানব পাচার করা হলেও এখন সেখানে বড় উপাদান হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। উন্নত ও স্বপ্নীল জীবনের লোভে অনেকেই বন্ধু নামধারী পাচার চক্রের সদস্যদের কবলে পড়ছে। বিশেষ করে নয় থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুরা এখন টার্গেট। তবে, তারকা হওয়ার নেশায় ফাঁদে পড়া বেশি বয়সীদের সংখ্যাি একেবারে কম না। সামান্য অসচেতনতার কারণে বড় ধরনের বিপদ বা ঝুঁকির কবলে পড়তে হতে পারে। তাই শিক্ষার্থীদের নিজ থেকে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি সকলকে সচেতন করার দায়িত্ব নিতে হবে। শুধু নারী বা শিশু পাচার প্রতিরোধে নয়। নিপীড়নের শিকার হয়ে ফিরে আসলে তাদেরকে সামাজিক জীবন দিতে সচেতনতায় কাজ করতে হবে একসাথে।