বিপিএলের গত আসর নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল প্রযুক্তি আধুনিক মানের নয়। ডিআরএস ব্যবস্থাও ছিল না। কিন্তু, এবার গত আসরের ভুল আমলে নিয়েছে বিপিএল কতৃপক্ষ। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার না করা, রিভিউ না থাকা, ভালো খেলোয়াড় সংকটসহ নানা কারণে অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের চেয়ে পিছিয়ে গেছে বিপিএল। তবে এবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারসহ বিশ্বমানের সম্প্রচারে নজর দিয়েছে বিসিবি।
এবারের আসর উন্নতমানের সম্প্রচারের ফলে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। মোট ৩৪ থেকে ৩৬টি অত্যাধুনিক ক্যামেরার মধ্যে ১৮টি থাকবে অপারেটর বা ক্রু’দের হাতে। বাকি ১৬টি থাকবে স্বয়ংক্রিয়। ভিডিও কোয়ালিটি থাকবে ন্যূনতম ৪কে রেজ্যুলেশন। থাকছে জুম লেন্স যাতে থাকবে ১২গুণ বা ২৪ এমনকি ৯০ গুণও।
এবারের বিপিএলে সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন শর্ত আনছে বিসিবি। বিশ্বমানের সম্প্রচার নিশ্চিত করার জন্য শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে যে সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠানের থাকতে হবে আইপিএল, বিগব্যাশের মতো টুর্নামেন্ট বা আইসিসি টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞতা। সম্প্রচারে ব্যবহার হবে ৩৪ থেকে ৩৬টি আধুনিক ক্যামেরা।
শর্ত দেওয়া হয়েছে গ্রাফিকস নিয়েও। গ্রাফিকসের মান হতে হবে এশিয়া কাপ অথবা বিশ্বকাপের মানের। প্রডাকশন কোম্পানিকে দিতে হবে সেরা কোয়ালিটির নিশ্চয়তা। তার জন্য বিসিবিকে দিতে হবে দুই কোটি ২০ লাখ টাকা। যেকোনো সময় প্রডাকশনের দায়িত্বে থাকা কোম্পানির চুক্তি বাতিল করতে পারবে বিসিবি।
অত্যাধুনিক অডিও মিক্সার বা ভিডিও মিক্সার তো থাকছেই। গ্রাফিক্সের নান্দনিক ব্যবহারে থাকবে হিল প্লটার, ট্রাগেট এয়ার, ওয়াপস আর ড্রোনের উপস্হিতি। এসিসি বা আইসিসির মতো আন্তর্জাতিক মানের ইভেন্টের মতো গ্রাফিক্স কোয়ালিটি। অত্যাধুনিক স্টুডিও সাজানো হবে আধুনিক লাইট, রিফ্লেক্টিং চেয়ার, পিজিএম মনিটর দিয়ে।
ইঞ্জিনিয়ার ক্রুতে থাকবেন অভিজ্ঞ প্রডিওসার, ক্যামেরাপারসন ও এডিটররা যাদের থাকতে হবে দশ বছরের লাইভ স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের অভিজ্ঞতা। থার্ড আম্পায়ার ও ধারাভাষ্যেও থাকছে আধুনিকতার ছোঁয়া। মাঠেও থাকছে জিং বেল ও এলইডি স্টাম্পস।
সবক্ষেত্রেই থাকবে বিসিবির কড়া নজরদারি। তাই এবার বিপিএলে বিশ্বমানের সম্প্রচার পেতে যাচ্ছেন সমর্থকরা যা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
উল্লেখ্য, এবারের বিপিএল শুরু হচ্ছে আগামী ১৯ জানুয়ারি। যা চলবে একমাসেরও বেশি সময়। যথারীতি তিন ভেন্যুতে হবে এবারের আসর। সাত দলের টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১ মার্চ।
শেয়ার করুন