সীমানারেখা কিংবা পানি চুক্তির মতো ভারত-পাকিস্তানের অনেক কিছুই অমীমাংসিত। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচটা অমীমাংসিত রাখতে চায়নি। উত্তাপ ছড়ানো লড়াইয়ে আকাশ বৃষ্টি ঢাললেও রিজার্ভ ডে’তে সুরহা হওয়া ম্যাচে পাকিস্তানকে রেকর্ড ২২৮ রানে হারিয়েছে ভারত।
বিশেষ বৈঠকে বসে সুপার ফোরের শুধু ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে রিজার্ভ ডে রাখার কারণ অনুমেয়। ক্রিকেট বাণিজ্য। এসিসি কিংবা পিসিবি অর্থ আয়ের সুযোগ হারাতে চায়নি। কিন্তু সেই লড়াই জমলো না। ব্যাটে-বলে ভারতের আধিপত্যে ২০০৮ সালের পর এতো বড় রানে হারল পাকিস্তান। সেবার মিরপুরে মেন ইন গ্রিনরা হেরেছিল ১৪০ রানে।
রোববার কলম্বোয় টস হেরে ব্যাট করতে নামে ভারত। ম্যাচ মাঠে গড়ায় মাত্র ২৪.১ ওভার। তাতেই বড় রানের ভিত্তি দেন রোহিত শর্মা ও শুভমন গিল। অভিজ্ঞ রোহিত ছয়টি চার ও চারটি ছক্কায় ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন। তরুণ গিল ১০ চারের শটে ৫৮ রান করেন।
ওই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরি করেন তিনে নামা বিরাট কোহলি ও ইনজুরি কাটিয়ে দীর্ঘদিন পরে জাতীয় দলে ফেরা কেএল রাহুল। বিরাট ৯৪ বলে ১২২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। নয়টি চার ও তিন ছক্কায় ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৭তম সেঞ্চুরির সঙ্গে ১৩ হাজার রান পূর্ণ করেন তিনি। কেএল রাহুল ১০৬ বলে ১১১ রান করেন। তিনি ১২টি চার ও দুটি ছক্কা তোলেন। ভারত ৫০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৫৬ রানের বিশাল সংগ্রহ জমা করে।
জবাব দিতে নেমে পাকিস্তান শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ৩২ ওভারে মাত্র ১২৮ রানে থেমেছে। ইনজুরির কারণে পাঁচ ওভারে বেশি বোলিং করতে না পারা হ্যারিস রউফ ব্যাট করতে নামেননি। তার ইনজুরির কারণেই বাবর আজম বোলিং আক্রমণে পরিকল্পনা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
পাকিস্তান দলের ১৭ রানে ওপেনার ইমাম উলকে হারায়। এরপর ফখর জামান ও বাবর আজম আশা দিতে পারেননি। বাবর ফিরে যান ১০ রান করে। পরপরই ফিরে যান মোহাম্মদ রিজওয়ান (২)। ভারতের বাঁ হাতি লেগ স্পিনার কুলদীপ যাদবের মায়াবি ঘূর্ণিতে শতরানের আগে পাঁচ উইকেট হারায় পাকিস্তান। সেখান থেকে ধসে যেতে সময় লাগেনি।
দলটির হয়ে ধুঁকে ধুঁকে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেছেন ফখর। এছাড়া আগা সালমান ও ইফতিখার ২৩ করে রান যোগ করেন। কুলদীপ একাই তুলে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। তিনি আট ওভারে মাত্র ২৫ রান খরচ করেছেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৭৭বার ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন কোহলি।
শেয়ার করুন