লাখাইয়ে ভূমিহীন, গৃহহীন বিধবা ছালেকার সংসার চলে ভিক্ষাবৃত্তিতে,জুটেনি কোন ভাতার কার্ড।

হবিগঞ্জ

এম ইয়াকুব হাসান অন্তর।
( লাখাই) হবিগন্জ প্রতিনিধিঃ

হবিগন্জ জেলার লাখাই উপজেলার সিংহগ্রাম এর মৃত মকবুল হোসেন স্ত্রী ছালেকা খাতুন স্বামীর মৃত্যর পর থেকে ভিক্ষাবৃত্তিতে অতি কষ্ঠে দিনাতিপাত করছে।স্থানীয় ও বিধবা ছালেকার সাথে আলাপকালে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় ছালেকার স্বামী মকবুল মিয়ার নিজের ভিটে বাড়ীতে যৎসামান্য জমি জমা ও স্বামীর আয়- রোজগারে কোন মতে সংসার চলছিল। তার রয়েছে ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে।যথাসময়ে ছেলেমেয়েদের বিয়েও দেন।বিয়ের পর ছেলেরা তাদের ছেড়ে চলে যায় যে যার মতো।এদিকে বৃদ্ধ স্বামীর আয়- রোজগার না থাকায় শেষ বয়সে এসে জীবন নির্বাহ করতে ভিটেমাটিটুকু বিক্রি করতে হয়।হয়ে পড়েন ভূমিহীন। এরই মধ্য বছর দশেক পূর্বে স্বামী মকবুল হোসেনও পরপারে চলে যান।এতে সালেকা পড়েন বিপদে।নিরুপায় হয়ে আশ্রায় নেন একই গ্রামের তাউস মিয়ার বাড়ীতে। বর্তমানে ষাটোর্ধ ছালেকা অন্যের বাড়ীতে থেকে ভিক্ষা করে যা আয় হয় তা দিয়ে অনাহারে ও অর্ধাহারে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছে।ছাালেকা জানান আমি শুনেছি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গরীব অসহায় ভূমিহীনদের ঘর দিচ্ছে।আমি সরকার এর কাছে একটি ঘর চাই,যাতে মরার সময় নিজের ঘরে মরতে।সে আরো জানান যেখানেই ঘর দেওয়া হোকনা কেন আমি যেতে চাই।মাথা গোঁজার ঠাঁই চাই। এপর্যন্ত কোন প্রকার ভাতা বা সাহায়্যের কার্ড পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে জানান আমি গরীব আমাকে কে কার্ড দিবে।ভোট আসলে অনেকে আশ্বাস দেয় পরে আর খোঁজ রাখেনা কেউ।তাই এ নিয়ে ভাবিনা।যতদিন শরীর চলে এ ভাবেই চলতে চাই।ছেলেরা খোঁজ নেয় কিনা জানতে চাইলে জানান তারা কে কোথায় থাকে জানিনা।কারন বাড়ী- ঘর থাকলে হয়তো আসতো।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শরীফ উদ্দীন সাথে আলাপকালে জানান নতুন করে বরাদ্দ এলে তাঁকে একটি ঘর দেওয়ার চেষ্টা করব।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *